সমস্যা চিহ্নিত করেন খালেদা, বাস্তবায়নে বাধা দেন তারেক

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ১২:৫৬ পিএম, ৩ ডিসেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

গত মার্চে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পাওয়ার পর নেতাদের সাথে সাক্ষাৎ করে দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু অভিমত তুলে ধরেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। দল পরিচালনায় কিছু ভুল পদক্ষেপ চিহ্নিত করে তা সমাধানেরও নির্দেশ দেন খালেদা জিয়া। কিন্তু নানা অজুহাতে এবং তারেক রহমানের প্রভাবের কারণে সেই নির্দেশ বাস্তবায়ন হচ্ছে না।

জানা গেছে, বিএনপির সব সিদ্ধান্ত এখন একাই নিচ্ছেন তারেক রহমান। তার বাইরে কিছু বলতে বা করতে পারছেন না মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও। দলের সমস্যা বেগম জিয়া চিহ্নিত করলেও সমস্যা সমাধানে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন তারেক রহমান।

জানা গেছে, জেলে থাকতেই দলীয় নেতাদের মাধ্যমে দল পুনর্গঠনে নির্দেশনা দেন বেগম জিয়া। ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও কৃষকদলের ভঙ্গুরাবস্থা দূর করতে নতুন কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন বিএনপি নেত্রী। কিন্তু বেগম জিয়ার সেই সেই আদেশ নির্দেশনাতেই আটকে গেছে। দল গঠনের কোন উদ্যোগ দৃশ্যমান হয়নি এখনও। কারণ তারেক পছন্দের দু-একজন নেতার পরামর্শকে তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন এমনভাবে যে নেতাদের কোনো সাংগঠনিক ভিত্তি নেই।

গুঞ্জন রয়েছে, হাওয়া ভবনের কর্মচারীদের যে ক্ষমতা, তার সিকিভাগও নেই দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের। তারেক রহমানের প্রভাবের কারণে দলের সিনিয়র নেতারা স্বাচ্ছন্দ্যে কোনো কাজ করতে পারছেন না। দলীয় সমস্যা বেগম জিয়া চিহ্নিত করে সমাধানের নির্দেশ দিলেও তারেকের অনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে সকল পরিকল্পনার বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে দলের স্থায়ী কমিটিতে স্থান দিয়েছেন তারেক রহমান। কারণ এ দুজনই তার আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে তাদের চেয়ে সিনিয়র ও ত্যাগী নেতারা অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। তারেক রহমান মনে করেন, জ্যেষ্ঠ নেতারা তাকে মেনে রাজনীতি করবেন না। সুতরাং তাদের গুরুত্ব দেয়ার কিছু নেই। বরং কৌশলে তাদের নিষ্ক্রিয় করে ফেলতে যা করার দরকার তাই করা হচ্ছে। ফলে তারেক রহমানের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করলেই তার সমর্থকরা সমালোচককে ‘সরকারের দালাল’সহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত করতে কুণ্ঠিত হন না। তারেকের কারণে বিএনপির পথচলা চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলেও গুঞ্জন উঠেছে।