ভয়ানক দুর্নীতিবাজ তারেকের অপকর্মে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাংলাদেশ

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০৪:২৬ পিএম, ১৯ নভেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার

ছবি- তারেক রহমান

ছবি- তারেক রহমান

ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট, কমিশন বাণিজ্য, উন্নয়নের নামে বরাদ্দের টাকা ভাগাভাগি, অর্থের বিনিময়ে দেশে অবাধে অস্ত্র ও মাদক ব্যবসার প্রসার ঘটানোর অভিযোগে অভিযুক্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সীমাহীন অনিয়ম, দুর্নীতি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের কারণে দেশ ও বিদেশে দুর্নীতির বরপুত্র ও অপ্রতিদ্বন্দ্বী দুর্নীতিবাজ হিসেবে কুখ্যাতি অর্জন করেছেন লন্ডনে পলাতক তারেক। জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদে মদদ দেয়া, সীমাহীন দুর্নীতির কারণে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছিলেন তারেক।

তথ্যসূত্র বলছে, তারেক রহমানের দুর্নীতির অন্যতম স্থান ছিলো দেশের বিদ্যুৎ খাত। বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে বিদ্যুৎ সংযোগের নামে শুধু খাম্বা স্থাপন করে দেশ ও বিদেশে তিনি খাম্বা তারেক নামে পরিচিতি লাভ করেছেন। তারেক রহমানের লাগামহীন দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশ পর পর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়। তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকারের ওপর ছড়ি ঘোরাতে বনানীতে হাওয়া ভবন নামে প্যারালাল সরকার গঠন করে সেখান থেকে দেশের প্রতিটি উন্নয়ন খাতে কমিশন নির্ধারণ করতেন তারেক রহমান। বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আদালত কর্তৃক দণ্ডিত কোনো অপরাধী দলটির প্রধান হতে পারবেন না। অথচ সব নিয়ম নীতি উপেক্ষা করেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বানানো হয়েছে তারেক রহমানকেই।

তারেক রহমান শুধু দেশেই নয় বরং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও দুর্নীতির রাজা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে তারেক রহমানকে একাধিক রাষ্ট্র, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা, গণমাধ্যম মার্কামারা দুর্নীতিবাজ হিসেবে চিহ্নিত করে। তারেক রহমানের চক্রান্ত ও দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে জঙ্গিরাষ্ট্রে পরিণত হয়। দেশকে বিক্রি করে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত কোটি কোটি টাকা লন্ডন, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, আবুধাবি, কেয়ম্যান আইল্যান্ডে পাচার করে সেখানে বিনিয়োগ করেন তারেক। তার দুর্নীতি ও লুটপাটের রাজনীতিতে চরম ভোগান্তিতে ছিল বাংলাদেশে অবস্থিত কয়েকটি বিদেশি দূতাবাস।

তারেক রহমানের দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও জঙ্গি সম্পৃক্ততার কারণে খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাকে ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। ২০০৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জুডিথ চামাস একটি বক্তব্যে বলেন, ফোন দিয়ে তারেক রহমানের নির্দেশে জঙ্গি ও জেএমবি নেতা সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাইয়ের ডানহাত মাহতাব খামারুকে মুক্তি দেওয়া হয়।

২০০৬ সালের ২৪ আগস্ট বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্যাট্রিসিয়া বিউটেনিস মন্তব্য করেন যে, খালেদা জিয়ার ছেলেরা এবং বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের মন্ত্রীদের আত্মীয়রা সরাসরি কমিশন বাণিজ্যে জড়িত। তারা প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছেন। ২০০৮ সালের ১১ মার্চ বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি তারেক রহমানকে নিয়ে একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, তারেক রহমান ভয়ানক দুর্নীতিবাজ। তিনি দুর্নীতি করে কোটি কোটি ডলার কামিয়েছেন। তাকে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা দেয়া ঠিক হবে না।

বাংলাদেশের উন্নয়ন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার বিকাশ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক স্বীকৃত ও আন্তর্জাতিক অগ্রহণযোগ্য ও ঘৃণিত তারেক রহমানকে বর্জন করলেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। সমতার বাংলাদেশ গড়তে, মানুষের অধিকার রক্ষা এবং সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে দুর্নীতিবাজদের প্রত্যাখ্যান করা জরুরি বলেও মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।