নিউজিল্যান্ডে ভোটে জয়ের ব্যাপারে প্রত্যয়ী জেসিন্ডা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০৪:২২ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০২০ শনিবার

জেসিন্ডা আর্ডার্ন। ছবি- সংগৃহীত

জেসিন্ডা আর্ডার্ন। ছবি- সংগৃহীত

নিউজিল্যান্ডে সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে ভোট দিচ্ছেন লাখ লাখ ভোটার। এবারও জয়ের ব্যাপারে প্রত্যয়ী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্নের লেবার পার্টি। গত সেপ্টেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারির কারণে নির্ধারিত সময় থেকে ভোট গ্রহণ এক মাস পিছিয়ে দেয়া হয়।

স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ৯টায় ভোট শুরু হয়েছে। ভোট শেষ হবে সন্ধ্যা ৭টায়। এর আগে গত ৩ অক্টোবর আগাম ভোট গ্রহণ হয়েছে। এতে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ ভোট দিয়েছেন। জানা গেছে, সাধারণ নির্বাচনের ভোট দেয়ার পাশাপাশি দুটি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গণভোটও দিচ্ছেন নিউজিল্যান্ডবাসী।

এদিকে, নির্বাচনের আগে বেশির ভাগ জনমত জরিপই ইঙ্গিত দিয়েছে যে, দক্ষতার সঙ্গে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম হওয়া প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্নই দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছেন।

তবে এখন একটি বড় প্রশ্ন হচ্ছে চলতি বছরের এই নির্বাচনে জেসিন্ডা আর্ডার্নের দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারবে কিনা। যদিও অনেকেই মনে করছেন তার বর্তমান জনপ্রিয়তাই তার দলকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাইয়ে দিতে পারে।

মনে করা হচ্ছে এবারের নির্বাচনে জেসিন্ডা আর্ডার্নের লেবার পার্টির সঙ্গে জুড়িথ কলিন্সের মধ্য-ডানপন্থী ন্যাশনাল পার্টিরই মূল লড়াই হবে। তবে এখনকার নির্বাচনী ব্যবস্থায় কোনো দলের পক্ষেই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন সম্ভব নয়।

১৯৯৬ সালে দেশটিতে মিশ্র সদস্য আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (এমএমপি) ব্যবস্থা চালুর পর এখন পর্যন্ত কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।

নিউজিল্যান্ডের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এরইমধ্যেই ২০ শতাংশ ভোট গণনা শেষ হয়েছে।

প্রাথমিক ভোটে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ শতাংশ ভোট পেয়েছে জেসিন্ডা আর্ডার্নের দল। এর ফলে তারা জাতীয় সংসদের অর্ধেকের বেশি আসন অর্জন করতে পারবে।

এদিকে মধ্য-ডানপন্থী ন্যাশনাল পার্টি পেয়েছে ২৬ শতাংশ ভোট এবং গ্রিন পার্টি পেয়েছে প্রায় ৮ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ প্রাথমিক ফলাফলে এগিয়ে আছে লেবার পার্টি।

নির্বাচনের আগে লেবার পার্টি সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আরও অর্থ প্রদান, জলবায়ুবান্ধব নীতি বাস্তবায়নের প্রতি জোর দিয়েছে। অপরদিকে অবকাঠামোগত বিনিয়োগ বৃদ্ধি, ঋণ মওকুফ এবং সাময়িক সময়ের জন্য কর হ্রাসের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ন্যাশনাল পার্টি।