ইতিহাসে প্রথমবার পূর্ণাঙ্গ মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করল ঢাবি

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০৯:২৪ এএম, ১১ অক্টোবর ২০২০ রোববার

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একটি পূর্ণাঙ্গ মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে। মাস্টারপ্ল্যানে শিক্ষার্থীদের আবাসিক চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়টির ব্যাপক পরিবর্তন আসবে।

গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের সভায় এই মাস্টার প্ল্যান অনুমোদন করা হয়।

জানা গেছে, প্রথমপর্যায়ে এটি বাস্তবায়নে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এর আওতায় সংস্কারের অভাবে নষ্ট হতে চলা ঐতিহ্যবাহী কার্জন হল মেরামত করে সংরক্ষণ করা হবে। বহিরাগতদের অবাধ যাতায়াতও নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এছাড়া ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের নান্দনিক পুকুরটি সংরক্ষণ করে বসার জায়গা তৈরি করে দেয়া হবে।
 
পাশাপাশি প্রযুক্তিগত ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, আবাসন সংকট দূর, বিশ্বমানের লাইব্রেরি সুবিধা, পার্কিং, যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ, সবুজায়ন, খেলার মাঠের আধুনিকায়ন, সোলার এনার্জি স্থাপন, ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট, অত্যাধুনিক জিমনেসিয়াম ও সব সুবিধা সম্বলিত আধুনিক মেডিকেল সেন্টার থাকবে।

মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় ২৩ ভবন নির্মাণ ও সংস্কার এবং নতুন নতুন হল নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি ভবন আলাদা রঙ দিয়ে চিহ্নিত করা থাকবে। প্রশাসনিক ভবন ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা হবে।

ত্রিকোণাকৃতির ভবনের মাঝামাঝি থাকবে উপাচার্যের অফিস। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির একটি অংশ ভেঙে ১০তলা ভবন করা হবে। ই-লাইব্রেরির জন্য থাকবে পর্যাপ্ত জায়গা। ডাকসুর বহুতল ভবন তৈরিরও পরিকল্পনা রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর থাকবে এ ভবনে।

মাস্টারপ্ল্যানের আলোকে শাহনেওয়াজ ছাত্রাবাস ভেঙে ছাত্রীদের জন্য তৈরি হবে ‘জয় বাংলা’ হল। আর রাজধানীর গ্রিন রোডে ছয় একর জায়গায় হোস্টেলের পাশাপাশি বহুতল ভবন নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। আধুনিক মার্কেটের পাশাপাশি থাকবে কনভেনশন হল। আর ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ক্যাম্পাসে আরো দু-একটি ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে প্রশাসন।

কুদরাত-এ-খুদা ছাত্রাবাস ও অ্যাথলেট সুফিয়া কামাল হোস্টেলকে নতুন করে হলে রূপান্তর করা হবে।

শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা সাইকেল লেনও রয়েছে মাস্টারপ্ল্যানে। বহিরাগত গাড়ি ও হর্নের শব্দ বন্ধের উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মূল বেদির বাইরের সম্মুখ অংশ বাড়ানো, পেছনের অংশ দিয়ে বিকল্প রাস্তা ও মূল চত্বরে রাজনৈতিক সমাবেশ নিষিদ্ধ করে আলাদা স্কয়ার বা প্লাজা তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে।

মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নে টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. এ এম এম মাকসুদ কামাল জানান, এ ধরনের পরিকল্পনা এবারই প্রথম। এর বাইরে কোনো ভবন গড়ে উঠতে পারবে না। প্রতিবেশ-পরিবেশের কথা মাথায় রেখে যান চলাচল ও শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং পাঠদান ও গবেষণায় উৎসাহ বাড়ানো হবে। বিশেষজ্ঞসহ সংশ্লিষ্টদের মতামত ও পরামর্শে এ মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হয়েছে।