ব্যর্থতা নিয়েও এক যুগের বেশি সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ১১:৩৬ এএম, ১৪ মার্চ ২০২৪ বৃহস্পতিবার

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

পাঁচ বছর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ২০১৬ সালের ৩০ মার্চ ভারমুক্ত হয়ে আট বছর ধরে পূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন।এই এক যুগে মির্জা ফখরুলের সময়ে তিনটি জাতীয় নির্বাচন হলো। ২০১৪ সালে ভোট বর্জন, ২০১৮ সালে ভরাডুবি এবং ২০২৪ সালে আন্দোলনের ডাক দিয়ে কেউ কারাগারে, কেউ ব্রিফিংয়ে, আবার কেউ বা রয়েছেন আত্মগোপনে। 

তাই তো প্রশ্ন উঠেছে দলের মহাসচিব, স্থায়ী কমিটি এবং আন্দোলন সমন্বয়ে যারা ছিলেন, তাদের নেতৃত্বের দুর্বলতা নিয়ে। দলের বড় অংশ থেকে অভিযোগ উঠেছে- দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যাদের দায়িত্ব দিয়েছেন, তাদের বড় অংশই ব্যর্থ হয়েছেন। সিনিয়র অনেকেই তারেক রহমানের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেননি।

আর এতেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরপরই মাঠ পর্যায় থেকে কাউন্সিলের মাধ্যমে মহাসচিব পরিবর্তন এবং স্থায়ী কমিটিতে আন্দোলনে যোগ্যদের জায়গা করে দিতে জোরালো দাবি ওঠে। তবে হাইকমান্ডের বড় অংশ এ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, মির্জা ফখরুলের বিকল্প কে?

দেশের সুশীল সমাজের বড় অংশও মির্জা ফখরুলে সন্তুষ্ট। এ নিয়ে বিএনপির ত্যাগী নেতাদেরও কিন্তু পাল্টা অভিযোগ নেই। তারা বলছেন, নম্র-ভদ্রতায় সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতায় ফখরুলকে নিয়ে প্রশ্ন নেই। তবে রাজনৈতিক ভূমিকায় মহাসচিবের বিচক্ষণতায়, উপযুক্ত সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত ও নেতাকর্মীদের ভাষা বোঝায় ফখরুলের দুর্বলতা রয়েছে।

দলের একাধিক সিনিয়র নেতারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ২০ দল ভেঙে দিয়ে ঐক্যফ্রন্ট গঠন করা, খালেদা জিয়াকে আটকের পর আন্দোলন না করা, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সব দলকে নিয়ে এক ব্যানারে আন্দোলনে না এসে ৬৩ দলকে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলন করা- এসব প্রক্রিয়ার পেছনে মহাসচিবের ভূমিকা ছিল অনেক বেশি।

তবে প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আর তার ব্যর্থতার কারণেই মূলত মাঠ পর্যায়ে বিএনপির একের পর এক এই ভরাডুবি।