শামাকে ‘বিক্রি করেই’ সামনে এগোচ্ছে বিএনপি

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ১১:০৬ এএম, ১৮ মার্চ ২০২৩ শনিবার

শামা ওবায়েদ

শামা ওবায়েদ

ফরিদপুর বিএনপির জন্য বড় দুঃসংবাদ। কার্যত অচল হলেও তৃণমূলের কাছে তিনি এতোদিন ছিলেন আশা-ভরসার প্রতীক। হাটে-মাঠে-খাটে কিংবা পল্টনের রাস্তাও দাপিয়ে বেড়িয়েছেন সমানতালে। এখন তার পদচারণায় মুখর বিদেশি দূতাবাসগুলো। যেগুলোকে তিনি দ্বিতীয় বাড়ি বলেই ডাকছেন। বলছি শামা ওবায়েদের কথা। বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, ক্ষমতা ফিরে পেতে প্রয়োজনে শামাকে বিক্রি করতেও পিছপা হবে না বিএনপি। দলে গুঞ্জন, তাহলে কি হবে তারেকের? তার মনোরঞ্জনের ভার পড়ছে কার ঘাড়ে?

‘দাও ফিরিয়ে সে ক্ষমতা, লও এ শামা’ এই নীতিকে আঁকড়ে ধরে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাবার গুটি সাজাচ্ছে ক্ষমতালোভী বিএনপি। এজন্য দাওয়াত না পেলেও দূতাবাস কর্মকর্তাদের ‘খুশি করতে’ দলের হাইকমান্ড ঠিকই পাঠিয়ে দিচ্ছে আকর্ষণীয় দৈহিক গড়নের শামা ওবায়েদকে। শরীর কিছুটা মেদবহুল ও গায়ের রঙ ইরানীয়ান বেলি ড্যান্সারদের মতো হওয়ায় কূটনৈতিকপাড়ায় বেশ সমাদরই জোটে তার।

জানা যায়, শারীরিক লাস্যময় ট্রাম্পকার্ডকে কাজে লাগিয়েই খোদ শামাকে সঙ্গে নিয়ে হাইকমান্ড সময়ে-অসময়ে নতুন নতুন ফিরিস্তি বা অভিযোগ নিয়ে দূতাবাসগুলোতে ধর্না দিয়েছে বিএনপির। শামাও তাতে না করেননি কখনো। বরং যখন যেভাবে ডেকেছেন নেতারা, তখন সেভাবে হাজির হয়েছেন। কেননা তাতে দলে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত হওয়ার পাশাপাশি অর্থবিত্তেও ফুলে-ফেঁপে ওঠা যায় দ্রুতই।

সূত্র বলছে, জাতীয়তাবাদী দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীও চান শামাকে লাইমলাইটে আনতে। কেননা তাতে দলের ইমেজও ফোকাস হয় খালেদা জিয়ার কূটনৈতিকপাড়া প্রীতির মতো। একটু একটু করে নিজেকে খুইয়ে হলেও দলের জন্য টেকসই একটা ভিত গড়েছেন তিনি। ঠিক এই বার্তা শামা যখনই ফখরুল-খসরুর কাছে পান তখন নিজেকে খালেদা জিয়ার আসনে ভাবতে শুরু করেন।

গোপন সূত্র বলছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াও নিজের সন্তানের মতোই দেখেন শামাকে। তাই যে কাজ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান করতে পারেননি, সে কাজ শামাকে দিয়ে হলেও সম্পন্ন করাতে মনস্থির করেছেন। তাতে ব্যাপারটা এমন হবে যে সাপও মরবে, লাঠিও ভাঙবে না। অর্থাৎ তারেক-জোবায়দার সংসারে শামাকে নিয়ে অশান্তি, সেটি মোড় নেবে দূতাবাসমূখী রাজনীতিতে। এতে ক্ষমতায় যাওয়ার পথও যেমন সুগম হবে, তেমনি জিয়া পরিবারেও বইবে শান্তির বাতাস।

তবে হুট করেই প্রশ্ন উঠছে, ‘মায়ের এই রাজনীতি’ কিভাবে মোকাবেলা করবেন তারেক? নিজের শয্যাসঙ্গী হারিয়ে, দলের ক্ষমতা হারিয়ে বিমর্ষ হয়ে পড়বেন? নাকি নতুন কৌশল নিয়ে এগোবেন? সেটা অবশ্যই সময়ই বলে দেবে।