পাতাল রেল যুগে বাংলাদেশ

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ১২:১৫ পিএম, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বৃহস্পতিবার

পাতাল রেল যুগে বাংলাদেশ

পাতাল রেল যুগে বাংলাদেশ

ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি-১) প্রকল্পের আওতায় দেশের প্রথম পাতাল রেলের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রূপগঞ্জের পূর্বাচল সেক্টর-৪ এ প্রধানমন্ত্রী এ প্রকল্পের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেছেন। এরপর সুধী সমাবেশে ভাষণ দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফর কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে সমাবেশস্থলে যোগ দিয়েছেন। সবমিলিয়ে রূপগঞ্জের পুরো এলাকা জুড়ে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর আগমন কেন্দ্র করে রূপগঞ্জের পূর্বাচলে সেক্টর-৪ এ তৈরি করা হয়েছে বিশাল মঞ্চ। সেইসঙ্গে মঞ্চের চারদিকে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দেশের প্রথম মেট্রোরেলের উড়ালপথের উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হয়েছে। এবার দ্বিতীয় মেট্রোরেল হচ্ছে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত, যা মূলত পাতাল রেল। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) বাস্তবায়ন হতে চলা প্রায় ২০ কিলোমিটার এই রেলপথ মাটির নিচে নির্মিত হবে।

প্রকল্প সূত্র জানায়, দ্বিতীয় মেট্রোরেলের (উড়াল ও পাতাল) দুটি রুটের মোট দৈর্ঘ্য ৩১ দশমিক ২৪ কিলোমিটার। এটি এমআরটি লাইন-১ হিসেবে পরিচিত। এর মধ্যে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত প্রায় ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার পাতাল রেল। এই রুটে ১২টি স্টেশন হবে। এগুলো হলো বিমানবন্দর, বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩, খিলক্ষেত, যমুনা ফিউচার পার্ক, নতুন বাজার, উত্তর বাড্ডা, বাড্ডা, হাতিরঝিল, রামপুরা, মালিবাগ, রাজারবাগ ও কমলাপুর।

এ ছাড়া পূর্বাচল রুটে নতুন বাজার স্টেশনটি পাতালে নির্মাণ করা হবে। নতুন বাজার থেকে পূর্বাচলের নারায়ণগঞ্জের পিতলগঞ্জ পর্যন্ত যাবে এই রুট, যার দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার। উড়ালপথের এই রুটে স্টেশন হবে ৯টি। এগুলো হলো নতুন বাজার, যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা, পুলিশ অফিসার্স হাউজিং সোসাইটি, মাস্তুল, পূর্বাচল পশ্চিম, পূর্বাচল সেন্টার, পূর্বাচল পূর্ব, পূর্বাচল টার্মিনাল ও পিতলগঞ্জ ডিপো।

এই প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। যার মধ্যে ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা জাপানি ঋণ আর বাকি অর্থ ব্যয় করবে সরকার। এই প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দৈনিক ৮ লাখ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে।