মহান পেশাকে পুঁজি করে ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডে লিপ্ত আসিফ নজরুল

রাজনীতি ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০২:১৪ পিএম, ৯ অক্টোবর ২০২২ রোববার

আসিফ নজরুল

আসিফ নজরুল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পাপিষ্ঠ শিক্ষক আসিফ নজরুল। শিক্ষকতা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির আইন অনুষদে। শিক্ষকতা জীবনের শুরু থেকেই নানা প্রলোভন দেখিয়ে ছাত্রীদের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে জড়িয়েছেন অনৈতিক সম্পর্কে। খেলেছেন ছাত্রীদের জীবন নিয়ে। এমনকি পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়েও তিনি একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন বলে জানা গেছে।

অনলাইনে সেসব অপকর্মের অডিও ভিডিও ফাঁসও হয়েছে একাধিকবার। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে একাধিকবার লিখিত-মৌখিক অভিযোগও উঠেছে। কিন্তু বরাবরই তিনি বিএনপির প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায় পার পেয়ে গেছেন।

২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর ওই বছরের ১৬ আগস্ট বিএনপিপন্থী এই বুদ্ধিজীবী নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন হলে কাবুল বিমানবন্দর ধরনের দৃশ্য বাংলাদেশেও হতে পারে।’ যা স্পষ্টতই মৌলবাদপ্রীতি ও ‘জঙ্গিবাদে মদদের অভিযুক্তে দুষ্ট।পরে ‘দেশদ্রোহীতা’, ‘জঙ্গিবাদে মদদ’র অভিযোগে ১৭ আগস্ট আসিফ নজরুলের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তার কক্ষে তালা দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।

(ভুক্তভোগী ছাত্রীর বক্তব্য: ৩য় বর্ষ পর্যন্ত আমার রেজাল্ট ছিল বেশ ভালো। ইচ্ছে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার। সেজন্য নানা সময় স্যারের পরামর্শ নিতাম। কিন্তু আমার স্বপ্নকে পুঁজি করে নজরুল স্যার একদিন আমাকে কুপ্রস্তাব দেন। আমি তাতে রাজি হইনি বলে স্যার আমার ৪র্থ বর্ষের রেজাল্ট টেম্পারিং করেন। নজরুল স্যার আমাকে গালমন্দ করে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে বলেন, আমি এই বিভাগের শিক্ষক হতে চাইলে তিনি দেখে নেবেন। স্যারের এই কথার প্রভাবই আমাদের আজকের এই ফলাফল। তবে যারা স্যারের সাথে আপোষ করেছে তাদের রেজাল্ট বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।)

এছাড়া বিতর্কিত আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা, বিবিসিতে আসিফ নজরুলকে বিভিন্ন সময় দেশবিরোধী বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। বিতর্কিত এই শিক্ষক ও বিএনপির পেইড এজেন্টকে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে কথা বলার মত রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার প্রমাণও রয়েছে।

সাধারণ জনগণকে সতর্ক করে বিশিষ্টজনরা বলছেন, মহান পেশাকে পুঁজি করে যে ব্যক্তি এমন ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডে লিপ্ত, তাকে আর যাই হোক দেশের স্বার্থে আদর্শ মানা যায় না। তাই জনগণকে সত্য মিথ্যা যাচাই করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতে হবে। সেই সাথে সুযোগ সন্ধানী এসব জ্ঞানপাপীদের বর্জন করতে হবে।