২০২৬ সালের পরও ব্রিটেনে ৯৮ ভাগ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে বাংলা

বাণিজ্য ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ১০:৩৮ এএম, ১৭ আগস্ট ২০২২ বুধবার

২০২৬ সালের পরও ব্রিটেনে ৯৮ ভাগ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে বাংলা

২০২৬ সালের পরও ব্রিটেনে ৯৮ ভাগ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে বাংলা

ডেভেলপিং কান্ট্রিজ ট্রেডিং স্কিম (ডিসিটিএস) নামে নতুন বাণিজ্য নীতি ঘোষণা করেছে ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্য। এই নীতিতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৬৫টি উন্নয়নশীল দেশকে শুল্ক হ্রাস এবং সহজতর রপ্তানি সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশন এ তথ্য জানিয়েছে।

হাইকমিশন বলছে, নতুন বাণিজ্য নীতি ডিসিটিএস বিশ্বের মধ্যে অন্যতম উদার বাণিজ্য সুবিধা দেবে। যা বাণিজ্যের প্রসার, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করবে। এই নতুন স্কিম যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যকার দীর্ঘমেয়াদী ও পারস্পরিক অর্থনৈতিক সর্ম্পককে আরও শক্তিশালী করার জন্য যুক্তরাজ্যের যে অঙ্গীকার তারই প্রতিফলন।

ডিসিটিএস যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করবে। এর মাধ্যমে শুল্কমুক্ত মর্যাদা না হারিয়েই বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের কাঁচামাল ব্যবহার করে যুক্তরাজ্যে পণ্য রপ্তানি করতে সক্ষম হবে। এই স্কিমের আওতায় অস্ত্র ছাড়া অন্য সব পণ্যে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা অব্যাহত থাকবে।

ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেছেন, ডিসিটিএস বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক বিকাশ ও সমৃদ্ধকরণে বাণিজ্য এবং বেসরকারি খাতের শক্তিকে কাজে লাগাবে। যুক্তরাজ্য বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি বাজার। দুই দেশের মধ্যে বার্ষিক প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্য হয়ে থাকে। এই নতুন স্কিমের অধীনে বাংলাদেশের পণ্য ব্রিটেনের বাজারে আরও সহজ প্রবেশাধিকার পাবে। এমনকি, বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার পরও তৈরি পোশাকসহ ৯৮ শতাংশ পণ্য শুল্কমুক্তভাবে ব্রিটেনে রপ্তানি করতে পারবে। আমরা আশা রাখি যে, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান উন্নতির ফলে উভয় দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাড়বে এবং বাংলাদেশ ব্রিটেন থেকে উন্নতমানের পণ্য ও সেবা কিনতে পারবে।

তিনি বলেন, ডিসিটিএস বিশ্ব অর্থনীতিতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং শক্তিশালী বিনিয়োগ অংশীদার তৈরি করতে অবদান রাখবে। এই স্কিমে মানবাধিকার এবং শ্রম অধিকার রক্ষায় ব্রিটেনের যে অঙ্গীকার তা প্রতিফলিত হয়েছে। গুরুতর মানবাধিকার ও শ্রম অধিকার লঙ্ঘন হলে বাণিজ্য সুবিধা তুলে নেওয়ার ক্ষমতা রাখা হয়েছে। এছাড়াও দুর্নীতিবিরোধী, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ বিষয়ক বিভিন্ন কনভেনশনে ব্রিটেনের যে অঙ্গীকার রয়েছে তা ডিসিটিএস সমর্থন করবে।

নতুন স্কিমটি ইউকে জেনারেলাইজড স্কিম অব প্রেফারেন্সেকে (জিএসপি) প্রতিস্থাপন করবে এবং ২০২৩ সালের প্রথম দিকে কার্যকর হবে।

স্কিম সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা যাবে এই লিংকে: Developing Countries Trading Scheme (DCTS): new policy report - GOV.UK (www.gov.uk)