অবশেষে বিক্রি হলো ৮৬ কেজির সেই ‘বাদশা’

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ১০:০৯ পিএম, ৫ জুলাই ২০২২ মঙ্গলবার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার আলোচিত ৮৬ কেজি ওজনের বাদশা নামের ছাগলটি (খাসি) বিক্রি করা হয়েছে। অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডেইলি বাংলাদেশে এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশের চারদিনের মাথায় আলোচিত ছাগলটি বিক্রি হয়। 

উপজেলার মোগড়া ইউপির বড় গাঙ্গাইল গ্রামের প্রবাসফেরত মাসুদ মুন্সি ছাগলটি ৬০ হাজার টাকায় ক্রয় করেন। সোমবার বিকেলে ছাগলটি বাড়িতে নিয়ে যান তিনি। বাবার শখ পূরণে ছাগলটি ক্রয় করেন বলে জানান মাসুদ মুন্সি। তবে এ সময় ক্রেতার হাসিমুখ থাকলেও বিক্রেতা গোলাম মাওলার মুখে ছিল বিষন্নভাব।

জানা যায়, পৌর শহরের দুর্গাপুর গেট এলাকায় মো. গোলাম মাওলা নামে এক কৃষক ওই ছাগলটি লালন-পালন করেন। এই উপজেলার মধ্যে ওই ছাগলটি ছিল সবচেয়ে বড় ও আলোচিত, দেখতেও অসাধারণ। ছাগলটির ওজন ৮৬ কেজি। এলাকায় ছাগলটি বেশ সাড়া ফেলেছে। হালকা সাদা লাল রঙের শরীর। কাশ্মীরি জাতের ছাগল। দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। ছাগলটিকে আদর করে ‘বাদশা’ নামে ডাকতেন। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ছাগলটি বিক্রির জন্য দাম হাঁকেন ৮৫ হাজার টাকা।

গত ৩০ জুন অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডেইলি বাংলাদেশে আলোচিত ছাগলটি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এতে চারদিকে ছাগলটি নিয়ে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়। আকর্ষণীয় ছাগলটি ক্রয় করতে ক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি হয়। নিউজ প্রকাশের চারদিনের মাথায় অবশেষে মাসুদ মুন্সি ছাগলটি কেনেন।  

মাসুদ মুন্সি জানান, নিউজ প্রকাশের পর ছাগলটি দেখে কেনার ইচ্ছা হয় তাদের। তাছাড়া বড় আকারের ছাগল তার বাবার খুবই পছন্দ। ছাগলটি বাবার পছন্দ হওয়ায় ইচ্ছা পূরণ করতে ক্রয় করেন তিনি। আল্লাহর নামে কোরবানি দেব, এতে টাকার কোনো বিষয় নেই।

ছাগলটির মালিক গোলাম মাওলা বলেন, শখের জিনিস কোরবানি দেওয়া আল্লাহর হুকুম। সন্তানের মতো করে ছাগলটি লালন পালন করেছি। ভালোবেসে নাম রাখি বাদশা। আর বাদশাকে প্রতিদিন খুদের ভাত, গমের ভুসি, খেসারির ভুসি, খৈল, ডাল, শুকনো খাবার, আঙুর, কলা ইত্যাদি খাওয়ানো হয়। তাছাড়া নিয়মিত প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে গিয়ে পরামর্শ নিয়েছেন। ছাগলটি বিক্রি করতে পেরে অনেক খুশি।