বিএনপি নেতাদের বিশাল গরু কেনার ব্যাপক ধুম

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০৩:৩১ পিএম, ৪ জুলাই ২০২২ সোমবার

 মুখে মুখে দেশের মানুষের জন্য আদর উথলিয়ে পড়লেও প্রতিবছরের মতো এবারো লাখ টাকা খরচ করে একাধিক গরু ক্রয় করেছে বিএনপি নেতারা। প্রতি বছরের ন্যায় এবারো বিএনপি নেতাদের মধ্যে চলছে বড় গরু কেনা নিয়ে কম্পিটিশন।

যার মধ্যে সব চেয়ে এগিয়ে আছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল আউয়াল মিন্টু। আব্দুল আউয়াল মিন্টু সর্বমোট ৬টি গরু ও তিনটি রাজস্থানি উট কিনেছেন। মিন্টুর ৬ টি গরুর মধ্যে ৪টি ব্রাহমা এবং বাকি দুটি শাহীওয়াল গরু। ব্রাহমা চারটির প্রতিটির দাম যথাক্রমে ৬ লাখ থেকে ৮ লাখ টাকার মধ্যে। বাকি দুটি শাহীওয়াল গরুর দাম ১০ লাখ টাকা। আব্দুল আউয়ালের রাজস্থানি উট দুটির দাম ৯ লাখ টাকা।

অপরদিকে মির্জা আব্বাস সর্বমোট পাঁচটি গরু কিনেছেন। যার মধ্যে দুটি ফ্রিজিয়ান, দুটি ব্রাহমা এবং অপরটি শাহীওয়াল।
দুটি ফ্রিজিয়ান গরুর দাম নিয়েছে ১১ লাখ। ব্রাহমা জাতের গরু দুটির দাম নিয়েছে ১০ লাখ টাকা। এবং একটি শাহীওয়াল গরুর দাম ৪ লাখ টাকা। যদিও পাকিস্তানি শাহীওয়াল গরুটি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ভাড়া বাসায় ইতিমধ্যে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

মূলত খালেদা জিয়ার পাকিস্তানি গরু প্রতি শখ থাকায় তাকে পাকিস্তানি গরু দিয়েছেন বিএনপির এই নেতা। এছাড়া মির্জা আব্বাসের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল। তিনি সর্বমোট ৪টি গরু কিনেছেন। যার মধ্যে দুটি শাহীওয়াল ও অপর দুটি সিন্ধি গরু। শাহীওয়াল গরু দুটির দাম যথাক্রমে ৪ লাখ ও ৫ লাখ। এবং সিন্ধি গরু দুটির দাম যথাক্রমে ৩ লাখ ও সাড়ে তিন লাখ টাকা।

এছাড়া মির্জা ফখরুল, রুহুল কবির রিজভী, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এবং শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ৪ টি করে ব্রাহমা জাতের গরু কিনেছেন বলে জানা যায়।

নতুন করে শুরু হওয়া করোনা এবং বিগত এক মাস ধরে চলা বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মানুষ যখন বেঁচে থাকার লড়াই করছেন। তখন বিএনপি নেতাদের কোরবানির গরু কেনার কম্পিটিশন নিঃসন্দেহে বেমানান। কোরবানির উদ্দেশ্য হলো ত্যাগের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। আল্লাহর প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে নিজের সবচেয়ে প্রিয় বস্তু মনে করে প্রতীকী অর্থে পশু কোরবানি করা।

তবে অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে বিএনপির কাছে কোরবানীর অর্থ লোক দেখানো কারবার। মূলত বাজারের সবচেয়ে বড় গরু, বেশি দামের গরু কোরবানি দিতে নিজের হেকমতি হাসিল করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছে বিএনপি নেতারা। কিন্তু আল্লাহর পক্ষ থেকে তা কখনোই চাওয়া হয়নি। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যে অর্ধেক কোরবানি দিতে বলেছেন তা যদি যথাযথভাবে দেয়া হয় তবে এই উৎসব ধর্মীয় উৎসব হিসেবে ত্যাগের মহিমায় বিজড়িত হবে। আশা করছি, আগামী বছরে বিএনপির শুভ বুদ্ধির উদয় হবে, এই কামনায়।