মানবজাতির মুক্তির দূত ও আলোর দিশারি ছিলেন যিশুখ্রিষ্ট: রাষ্ট্রপতি

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০৯:০৯ এএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০২১ শনিবার

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীসহ সারাবিশ্বে মহামতি যিশুখ্রিষ্টের শুভ জন্মদিনকে যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে ‘বড়দিন’ হিসেবে উদযাপন করে থাকেন। যিশুখ্রিষ্ট ছিলেন সত্যান্বেষী, মানবজাতির মুক্তির দূত এবং আলোর দিশারি।

শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) শুভ ‘বড়দিন’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের পাশাপাশি পৃথিবীকে শান্তির আবাসভূমিতে পরিণত করতে যিশুখ্রিষ্ট বহু ত্যাগের বিনিময়ে সৃষ্টিকর্তার মহিমা ও খ্রিষ্টধর্মের সুমহান বাণী প্রচার করেন। তিনি পথভ্রষ্ট মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে আহ্বান জানান। মানুষের মধ্যে ভালোবাসা, সেবা, ক্ষমা, মমত্ববোধ, সহানুভূতি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠাসহ শান্তিপূর্ণ অবস্থানের শিক্ষা দেন। জাগতিক সুখের পরিবর্তে যিশুখ্রিষ্ট ত্যাগ, সংযম ও দানের মাধ্যমে পরমার্থিক সুখ অর্জনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। জাতিতে জাতিতে সম্প্রীতি ও ঐক্য স্থাপনসহ অশান্ত বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যিশুখ্রিষ্টের শিক্ষা ও আদর্শ খুবই প্রাসঙ্গিক বলে আমি মনে করি।

তিনি বলেন, শুভ বড়দিন উপলক্ষে আমি দেশের খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীসহ বিশ্ববাসীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

আবদুল হামিদ বলেন, বিশ্বব্যাপী চলমান কোভিড-১৯ মহামারি আমাদের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাকে সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্ত করলেও থামিয়ে দিতে পারেনি। সরকারের সময়োচিত ও দূরদর্শী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ এখন নিয়ন্ত্রণে এবং সংক্রমণজনিত মৃত্যুর হারও শূন্যের কাছাকাছি। করোনা নিরাময়ে দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি নিরবচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩১-দফা নির্দেশনা, সময়োচিত সিদ্ধান্ত ও অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে বাংলাদেশ করোনা পরিস্থিতি সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলা করে যাচ্ছে। করোনাযুদ্ধে জয়ী হতে আমি খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবারের বড়দিনের উৎসবে শামিল হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে সব ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম ও আচার-অনুষ্ঠানাদি স্বাধীনভাবে পালন করে আসছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। আমি একটি সুখী-সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানাই। শুভ ‘বড়দিন’ খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীসহ সবার জন্য বয়ে আনুক অশেষ আনন্দ ও কল্যাণ, সবার জীবন ভরে উঠুক সুখ ও সমৃদ্ধিতে- এ কামনা করি।