দ্বন্দ্ব ও কোন্দল বাড়ছে বিএনপিতে

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ১১:৩২ এএম, ২৪ নভেম্বর ২০২১ বুধবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

বিএনপির পুনর্গঠন নিয়ে বার বারই হতাশ হচ্ছেন তৃণমূলের নেতারা। বেশ কয়েকটি জেলায় ও এর অধীনে থাকা ইউনিটে তাদের মতামত না নিয়ে কমিটি গঠন করায় দলে বাড়ছে দ্বন্দ্ব ও কোন্দল।

এসব কমিটিতে মৃত, প্রবাসী ও নিষ্ক্রিয় কর্মীরাও স্থান পাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিপরীতে অনেক ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা বাদ পড়েছেন। ফলে তারা রাগ, ক্ষোভ ও অভিমানে দলের কার্যক্রম থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখছেন। কেউ কেউ পদত্যাগেরও চিন্তা করছেন।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির নতুন কমিটিতে তারেক রহমানের আস্থাভাজনদের স্থান দেওয়া হচ্ছে। আর বিষয়টিকে সিনিয়র নেতারাও ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারছেন না।

জানা গেছে, তারেক রহমানের একক আধিপত্যের ফলে বিএনপির স্কাইপি কনফারেন্সে তারেকপন্থী যারা যুক্ত হচ্ছেন, তারা সিনিয়র নেতাদের পাত্তাই দিচ্ছেন না। এছাড়া স্কাইপি কনফারেন্সে কে কে থাকবেন- সেই তালিকাও ঢাকা থেকে তারেকপন্থী নেতারা তৈরি করছেন।

সূত্র আরো জানায়, দলের চেইন অব কমান্ড উপেক্ষা করে তারেক রহমানের স্কাইপি কনফারেন্স এবং মধ্যম সারির নেতাদের প্রাধান্য দেওয়ায় দলের অভ্যন্তরে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।

এসব কারণে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল এরই মধ্যে তিন ভাগ হয়ে গেছে। মূল মহিলা দল থাকলেও তাদের কর্মসূচিতে সংগঠনের নেত্রীদের উপস্থিতি নেই। মহিলা দলকে পাশ কাটিয়ে সাবেক একজন সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে মহিলা দলের নেত্রীদের একটা অংশ বিভিন্ন কমিটি গঠন করছে। আবার বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যানকে ঘিরে মহিলা দলের আরেকটি অংশ সরব হওয়ার চেষ্টা করছে। এছাড়া এ্যাব, ড্যাব, মৎস্যজীবী দল ও কৃষক দলের নবগঠিত কমিটিও একজন নেতার প্রেসক্রিপশনে হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবীরা বলেন, দলে কোনো ব্যক্তির একক আধিপত্য সেই দলের জন্য সুখকর বার্তা বয়ে আনতে পারে না। কারণ তারেক রহমানের জন্য বিএনপি থেকে গণতন্ত্র সেই কবেই বিলীন হয়েছে। বর্তমানে দলের নেতাকর্মীরাও তার প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন।

তারা আরো বলেন, বিএনপি নেতারা সারাদিন গণতন্ত্রের কথা বলে মুখে ফেনা তুললেও তাদের নিজ দলেই আজ গণতন্ত্র অনুপস্থিত। এ দলের সব সমস্যার মূলে রয়েছেন তারেক রহমান। আর তার একক কর্তৃত্বের ফলে দলটি দিন দিন বিলীন হয়ে যাচ্ছে।