ভারতের অরুণাচল দখল করে নিয়েছে চীন!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০৯:০৭ এএম, ২১ নভেম্বর ২০২১ রোববার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের অরুণাচলের নতুন নতুন জায়গায় বসতি স্থাপন করছে চীন। উড়িয়েছে পতাকাও। রাজ্যটিকে কখনোই নয়াদিল্লির বলে স্বীকার করে না বেইজিং। যার জেরে সেখানে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা অব্যাহত রেখেছে দেশটি। এমনকি তারা ভুটান সীমান্তেও বসতি স্থাপন করে যাচ্ছে। এসব নিয়ে নিয়ে রীতিমতো চাপে আছে নরেন্দ্র মোদি প্রশাসন। নিরবতার জন্য বিরোধীদল কংগ্রেসও একহাত নিয়েছে বিজেপিকে।

চীনকে মোকাবিলায় লাদাখ ও অরুণাচল সীমান্তে রাশিয়ার তৈরি আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা 'এস-ফোর হান্ড্রেড' ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করতে যাচ্ছে ভারত।

চলতি বছর জানুয়ারিতে স্যাটেলাইট চিত্রে অরুণাচলে ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যে একটি চীনা গ্রাম দেখা যায়, যা নিয়ে শুরু হয় রীতিমতো হইচই। সেই স্যাটেলাইট চিত্রের সত্যতায় সায় দেয় পেন্টাগনও। এরপরেই সীমান্তে চীনের বেআইনি কার্যকলাপের তীব্র বিরোধিতা করে ভারত।

সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে আবার সেই অরুণাচলেই চীনা বসতির ছবি ধরা পড়ল স্যাটেলাইট ছবিতে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ছয় থেকে সাত কিলোমিটার ভেতরে এই বসতি গড়ে উঠেছে। গত জানুয়ারিতে যে জায়গায় চীনা গ্রামের ছবি ধরা পড়ে, সেই গ্রাম থেকে বর্তমান গ্রামটি ৯৩ কিলোমিটার পূর্বে।

অরুণাচল সীমান্ত লাগোয়া শি-ইয়োমি জেলায় চীন এই বসতি গত দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যে গড়ে তুলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ১৯ মার্চ ২০১৯ সালে তোলা ওই জায়গার স্যাটেলাইট চিত্রে এলাকাটি ফাঁকা দেখা যায়। অথচ ২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বরের ছবিতে বসতির উপস্থিতি স্পষ্ট।

আরেক স্যাটেলাইট ছবিতে একটি বাড়ির ছাদে চীনা পতাকার উপস্থিতিতে স্পষ্ট হয়, এটি যে চীনেরই বসতি। ওই বসতিতে অন্তত ৬০টি বাড়ি রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সব বাড়িতে মানুষের বাস আছে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

শুধু অরুণাচলই নয়, ডোকলামের কাছে ভুটানের ভূখণ্ডেও চীন ঠিক একইভাবে বসতি গড়ে তুলেছে। গত সপ্তাহে প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে গোটা চারেক চীনা বসতি তৈরির স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশিত হয়।

চীনের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ ভারত। কিন্তু বিজেপি সরকার আদতে কিছুই করতে পারছে না বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। বিরোধীদল কংগ্রেসের মুখপাত্র গৌরব বল্লভ জানান, নরেন্দ্র মোদি প্রশাসনের চুপ থাকাই প্রমাণ করে তারা বেইজিংয়ের কাছে নতজানু অবস্থানে আছে। নয়াদিল্লি এখন তার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে বলেও অভিযোগ কংগ্রেস নেতাদের।