আগামী ১ ডিসেম্বর সামি-তাসনিমসহ চারজনের সম্পত্তি ক্রোকের প্রতিবেদন দাখিল

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০৮:২০ পিএম, ১২ নভেম্বর ২০২১ শুক্রবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

ফেসবুকে সরকারবিরোধী পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার আসামি হাঙ্গেরিপ্রবাসী সামিউল ইসলাম খান ওরফে স্যাম ওরফে জুলকারনাইন ও সুইডেনপ্রবাসী নেত্র নিউজের এডিটর ইন চিফ তাসনিম খলিলসহ চারজনের সম্পতি ক্রোকের প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেন এদিন ধার্য করেন। অপর দুই আসামি হলেন- আশিক ইমরান ও স্বপন ওয়াহিদ। সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার শামীম আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, ১৯ অক্টোবর আদালত সামিউল ওরফে জুলকার নাইন সায়ের খান, নেত্র নিউজের এডিটর ইন চিফ তাসনিম খলিল, আশিক ইমরান ও স্বপন ওয়াহিদের সম্পতি ক্রোকের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এ বিষয়ে তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। তবে ঐদিন প্রতিবেদন দাখিল না হওয়ায় আদালত আগামী ১ ডিসেম্বর পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। 

এদিকে, গত ১২ সেপ্টেম্বর আদালত এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে আসামি লেখক মুশতাক আহমেদসহ চারজনকে অব্যাহতি প্রদান করেন। অব্যাহতিপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন- যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সাংবাদিক সাহেদ আলম, জার্মান প্রবাসী ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন ও ফিলিপ শুমাখার। 

এছাড়া আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় নেত্র নিউজের এডিটর ইন চিফ তাসনিম খলিল, সামিউল ওরফে জুলকার নাইন সায়ের খান, আশিক ইমরান ও স্বপন ওয়াহিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। গত ১৩ জুন মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) উপপরিদর্শক আফছার আহমেদ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। এছাড়া, এ মামলা থেকে কারাগারে আটক অবস্থায় মারা যাওয়া লেখক মুশতাক আহমেদসহ চারজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। 

অভিযোগপত্রে উল্লেখিত অপর আসামিরা হলেন- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান, নেত্র নিউজ এর তাসনীম খলিল, আশিক ইমরান, স্বপন ওয়াহিদ। এছাড়া, অব্যাহতি পাওয়া অপর আসামিরা হলেন-যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সাংবাদিক সাহেদ আলম, জার্মানিতে থাকা ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন, ফিলিপ শুমাখার।

গত বছরের ৫ মে র‌্যাব-৩ সিপিসি-১ এর ওয়ারেন্ট অফিসার মো. আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে ১১ জনের নামে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। এছাড়া, অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়। 

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা ‘আই এম বাংলাদেশি’ নামে ফেসবুক পেজে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশে অপপ্রচার বা গুজবসহ বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিয়েছেন, যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়। ঐ পেজের অ্যাডমিন শায়ের জুলকারনাইন এবং আমি কিশোর, আশিক ইমরান, ফিলিপ সমাচার, স্বপন ওয়াহিদ, মোস্তাক আহম্মেদ নামীয় ফেসবুক আইডিসহ পাঁচজন এডিটর পরস্পর যোগসাজশে ফেসবুক পেজটি দীর্ঘদিন পরিচালনা করছেন। 

আহমেদ কবীর কিশোর, তাসনিম খলিল, জুলকারনাইন ওরফে সামিউল, শাহেদ আলম ও আসিফ মহিউদ্দিনের মধ্যে ‘রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিং’ এর প্রমাণ পাওয়া গেছে উল্লেখ করে এজাহারে বলা হয়েছে, তাদের ব্যবহৃত স্যামসাং মোবাইল ফোনে ‘আমি কিশোর’ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লগইন অবস্থায় পাওয়া যায়। আলামত পর্যালোচনা করে রাষ্ট্রবিরোধী পোস্ট, মহামারি করোনাভাইরাস, সরকারদলীয় বিভিন্ন নেতার কার্টুন দিয়ে গুজব ছড়িয়ে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির প্রমাণ পাওয়া যায়। এছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে তাসনিম খলিল, শায়ের জুলকারনাইন, শাহেদ আলম, আসিফ মহিউদ্দিনের সঙ্গে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে।