দর্শনীয় স্থান: কেরানীগঞ্জের সাউথ টাউন

ইসতিয়াক আহমেদ

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ১২:৪০ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০২১ বৃহস্পতিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

কেরানীগঞ্জের সাউথ টাউন মসজিদ। চারপাশে কাঁশফুল ঘেরা এক অসাধারণ স্থাপনা। কেরানীগঞ্জের সাউথ টাউন আবাসিক প্রকল্পের মধ্যে অবস্থিত এই মসজিদ। নান্দনিক গঠন আর অপূর্ব স্থাপত্যশৈলীর কারণে মসজিদটি এরইমধ্যে মানুষের কাছে আকর্ষণীয় রুপে ধরা দিয়েছে।

বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের কর্ণধার মোস্তফা কামাল মঈনুদ্দিন হচ্ছেন এর উদ্যোক্তা। মসজিদটি নির্মাণ করতে সময় লেগেছে প্রায় ২ বছর। আধা বিঘা জমিতে নির্মিত হয়েছে মসজিদটি।

চারপাশের খোলামেলা জায়গার মাথা উঁচু করে নিজ সৌন্দর্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে মসজিদটি। যদিও আবাসন প্রকল্পটিতে এখনো সেভাবে জনবসতি গড়ে ওঠেনি। তাই মসজিদে মুসল্লির সংখ্যা অনেক কম।

তবে মসজিদের নান্দনিকতার খবর পেয়ে অনেকেই এটি দেখতে আসেন। তারাই ওয়াক্ত হলে ফরজ ও নফল নামাজ আদায় করেন। চারদিকে তাকালে দেখা মিলবে বড় বড় ঘাস আর বিস্তৃত মাঠ।

কিছু দূরে দেখা যায় ইটভাটা। সেখানকার শ্রমজীবীরা এই মসজিদে নামাজ পড়তে আসেন। একতলা মসজিদটিতে একসঙ্গে প্রায় সাড়ে ৬০০ লোক জামাতে নামাজ পড়তে পারেন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মসজিদ তৈরিতে প্রায় ৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এতে প্রধান ফটক আছে ৩টি। দুই পাশে আছে আরও ২টি দরজা। চারপাশে প্রচুর জানালা তৈরি করে আলো প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

দু’স্তরের জানালার ফাঁক গলে আসা প্রকৃতির আলোয় ভেতরে চমৎকার এক পরিবেশ তৈরি হয়। জুড়িয়ে যায় চোখ। স্থপতির নন্দনভাবনার শৈলী ফুটে আছে গম্বুজের ভেতরের অংশেও।

দিনের আলো ঢোকার ব্যবস্থা আছে সেখানেও। সন্ধ্যার দিকে মসজিদের চারপাশের লাইটগুলো জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, তখন আরেক নান্দনিক দৃশ্যের অবতারণা হয়। এর পাশেই মসজিদের ইমাম ও খাদেমদের থাকার জন্যে আলাদা একটি ভবন করা হয়েছে।

মসজিদের খাদেম হাফেজ জহিরুল ইসলাম জানান, ‘দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন মসজিদটি দেখতে আসেন। তবে আগে আরও অনেক সুন্দর ছিল। ইটভাটার ধোঁয়ার কারণে মসজিদ ও চারপাশের ফুলের গাছগুলো নষ্ট হয়ে গেছে।’

সাউথ টাউনে কীভাবে যাবেন?

ঢাকার গুলিস্তান থেকে বাবুবাজার ব্রিজ পার হয়ে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে উঠতে হবে। এরপর রাজেন্দ্রপুর যেতে হবে।

রাজেন্দ্রপুরের নতুন কারাগারের একটু পরে হাতের ডান দিকেই সাউথ টাউন প্রকল্প। এই আবাসন প্রকল্পের প্রধান ফটক থেকে ৮-১০ মিনিট হেঁটে ভেতরে ঢুকতেই দূর থেকে চোখে পড়বে এই মসজিদ।