কুমিল্লার ঘটনা, বিএনপির পূর্ব পরিকল্পনার বাস্তবায়ন

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ১০:৫৭ এএম, ১৬ অক্টোবর ২০২১ শনিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতেই কুমিল্লা শহরের নানুয়া দীঘির উত্তরপাড়ে দুর্গা পূজার মণ্ডপে মূর্তির পায়ের কাছে পবিত্র কুরআন শরীফ রেখে এসেছিল বিএনপি-জামায়াতের পেইড কর্মীরা। যা ছিল তাদের পূর্ব পরিকল্পনার বাস্তবায়ন। যার প্রমাণ পাওয়া যায়, তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতাদের সাম্প্রতিক বক্তব্যেই।

দলটির একটি বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে, তারেক রহমানের পরিকল্পনাতেই কুমিল্লার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছে নিষিদ্ধ সংগঠন জামায়াত।

এখানে একটা কথা বলে রাখা প্রয়োজন, বিএনপি যখনই কোনো ধ্বংসাত্মক পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়নের আগে দলের নেতাদের বক্তব্যেই তার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। যেমন- ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার আগে কোনো কারণ ছাড়াই খালেদা জিয়া বলেছিল, ‘আওয়ামী লীগ কোনোদিনই ক্ষমতায় আসতে পারবে না।’ ২০১২ সালে বিএনপির পেট্রোল বোমা দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারার আন্দোলনের আগেও তাদের নেতারা আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়েছে। তাদের সবার বক্তব্যে একটা বিষয় লক্ষণীয় ছিল- ‘আমরা সকলে মিলে সরকার উৎখাত করবোই।’ এরপরই শুরু হয় তাদের জ্বালাও পোড়াও আন্দোলন। একই ঘটনা মতিঝিলে হেফাজতের তাণ্ডবের আগেও। ২০১৩ সালের ৪ মে শাপলা চত্বরে এক জনসভায় খালেদা জিয়া বলেছিল, ‘সরকার পালাবার রাস্তাও পাবে না।’ পরদিনই ঘটেছিল হেফাজতের ভয়াবহ তাণ্ডব।

এবার আসা যাক কুমিল্লার ঘটনার আগে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যে। ১০ অক্টোবর এক সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন, ‘নব্বইয়ের মতো আরেকটা গণঅভ্যুত্থান আসন্ন। তোমাদের জেগে উঠতে হবে, পরাজিত করতে হবে ভয়াবহ দানবীয় হাসিনা সরকারকে।’

একই দিন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘রক্ত যতো লাগে দেবো। সবকিছুর জন্য প্রস্তুত থাকেন। ডাক যখন আসবে, তখনই নেমে পড়তে হবে।’

আমান উল্লাহ আমানের বক্তব্যের ধরণও একই। তিনি বলেছেন, ‘তারেক রহমানের নেতৃত্বে সারাদেশে আগুন জ্বলবে।’

এইতো গেল নেতাদের বক্তব্য। এবার আসা যাক এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমানের দিকে। কুমিল্লার ঘটনার ঠিক একদিন আগে ১১ অক্টোবর হঠাৎ করেই তৎপর হন তারেক। সেদিন দুপুর থেকেই তিনি বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে স্কাইপে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘কিছু একটা ঘটছে, সচেতন থাকেন।’ কর্মীদের তিনি ঐক্যবদ্ধ থাকতে বলেছেন। নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে বলেছেন।

এটাও বলেছেন, ‘আমি নির্দেশ দিলেই বেরিয়ে পড়বেন।’

এবার আপনারাই বুঝে নিন কার নির্দেশে কুমিল্লার নানুয়া দীঘির উত্তরপাড়ে দুর্গা পূজার মণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফ পৌঁছেছে।