দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এলজিআরডিমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ১০:৪৫ এএম, ১৬ অক্টোবর ২০২১ শনিবার

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম

দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সকল জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক অবস্থানে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

মন্ত্রী বলেন, যারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কুমিল্লায় মূর্তির পায়ে পবিত্র কোরআন রেখে হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মিন্টু রোডে সরকারি বাসভবনে কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে সৃষ্ট ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে ব্রিফকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা এবং সিটি কর্পোরেশনসহ জনপ্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি তারা জাতির দুঃসময়ে, দুর্দিনে, বিপদে-আপদে সবার আগে মানুষের পাশে দাঁড়ায়। আমাদের দেশে সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ মিলেমিশে বসবাস করে। এদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজকে সেই সম্প্রীতি নষ্ট করতে এবং দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। এ ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে সকল জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক থাকতে হবে।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী শত্রুরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার জন্য বিভিন্ন সময় ষড়যন্ত্র করেছে এবং এখনও করে যাচ্ছে। তাদের আন্দোলনে মানুষের সাড়া পায় না বলেই দেশকে অস্থিতিশীল করতে ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগিয়ে ইন্ধনের চেষ্টা করছে। শুধু দেশে নয় দেশের বাহিরেও ষড়যন্ত্র হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা হত দরিদ্র দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছি। যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে উন্নত দেশের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি তখন একটি স্বার্থন্বেষীমহল এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। যারা এসব ঘটাচ্ছে তারা দেশ ও জাতির শত্রু। তারা কখনোই দেশের উন্নয়ন চায় না।

স্থানীয়সরকার মন্ত্রী বলেন, সকল ধর্মের মানুষদের সহবস্থানে থাকার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করেছেন। মুসলিম প্রধান দেশ হলেও বঙ্গবন্ধু সব ধর্মের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করেছেন। মানুষ যে ধর্মের হোক না কেন, সে যেন রাষ্ট্রীয় অভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারে এ নীতিমালা বাস্তবায়ন করে গেছেন। তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা সেই নীতি বাস্তবায়ন করছেন।