অর্থ পাচারের টাকায় লন্ডনে আয়েশি জীবন যাপন তারেকের

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০২:০৬ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ বুধবার

তারেক রহমান

তারেক রহমান

উপার্জন না করেও দীর্ঘদিন লন্ডনে আয়েশি জীবন যাপন করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। পলাতক এই ফেরারি আসামির চোখ-ধাঁধানো জীবন যাপনের অর্থ মেলে কোত্থেকে, আর কারাই বা দেয় টাকা- এমন প্রশ্ন সকলের মনে। এবার সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে শিগগিরই শুরু হচ্ছে তদন্ত। তার আগে বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্রে খবর মিলেছে, দেশ থেকে বিপুল অঙ্কের অর্থ পাচার হচ্ছে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার এই মাস্টারমাইন্ডের কাছে। যার সিংহভাগই যাচ্ছে সিলেট থেকে। পাশাপাশি লন্ডনে অবস্থানরত সিলেটি রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী থেকেও মোটা অংকের টাকা পাচ্ছেন তিনি।

বিশ্বস্ত সূত্রের তথ্যমতে, দীর্ঘদিন ধরে তারেক রহমানের অর্থ সরবরাহকারীদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। এবার সেই কাজ আরও জোরদার করতে শিগগিরই বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, দুর্নীতি দমন কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা আলাদাভাবে এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করবে বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয়। সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিললেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংক হিসাব দ্রুত তলব এবং জব্দও করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে সঙ্গে আলাপনে বিভিন্ন সংস্থার একাধিক তদন্ত কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তারেক রহমান আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তার অর্থের জোগানদাতা ও পাচারকারীদের পুরো চেইন নিয়ে এবার আমরা কাজ করব। দেশে ও বিদেশে বসে যারা টাকা পাচার করছেন ও তারেক রহমানকে টাকা দিচ্ছেন, পুরো চক্রকেই এবার আইনের আওতায় আনা হবে।

তারা এই প্রতিবেদককে আরও বলেন, যতদূর খবর পেয়েছি সিলেট থেকে প্রতিমাসে বিপুল পরিমাণ অর্থ তার কাছে পাঠানো হয়। পাশাপাশি লন্ডনে অবস্থানরত বিভিন্ন সিলেটি রেস্টুরেন্টের মালিক ও বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ীরাও তাকে ‘মাসিক চাঁদা’ হিসেবে মোটা অংকের অর্থ দেন। আমরা তাদেরও নজরদারিতে রাখবো। যেমনটা রাখা হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে যারা (বিএনপির নির্বাহী সদস্য তাবিথ আউয়ালসহ আরও অন্তত ১০ জন ব্যবসায়ী) তারেককে টাকা পাঠাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে। দ্রুতই পুরো এই চেইনটা আইনের আওতায় আসবে। মুখোমুখি হবে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির।

রাজনৈতিক বিজ্ঞজনরা বলছেন, ‘চোরের দশ দিন, গৃহস্থের এক দিন’ প্রবচনটি যে মিথ্যে নয়, তা অচিরে আবারও প্রমাণিত হবে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা, কে বা কারা দুর্নীতির বরপুত্র তারেক রহমানকে লন্ডনে টাকা পাঠান আর কেনই বা পাঠান। তাই থলের বিড়াল যতক্ষণ না বেরিয়ে আসে, ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই ধৈর্য্যধারণ করে থাকুন। কারণ, সবুরে যে মেওয়া ফলে।