বাংলাদেশ-ওমানের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে: আব্দুল মোমেন

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ১০:৩৯ এএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ বুধবার

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ ও ওমানের পারস্পরিক স্বার্থে বাণিজ্যে সর্বোচ্চ সুবিধা লাভে দ্বিপক্ষীয় অগ্রাধিকার বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) অথবা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের (এফটিএ) সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখতে পারে।

তিনি আরও বলেন, গত দশকে বাংলাদেশ ও ওমানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য খুবই সামান্য হলেও বেড়েছে। আমাদের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য পণ্য বহুমুখীকরণের অনেক সুযোগ রয়েছে।

মুজিববর্ষ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ‘বাংলাদেশ-ওমান দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য: চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে বক্তৃতাকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ওমানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কূটনৈতিক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি শেখ খলিফা আলহার্থিও বক্তব্য রাখেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক, সিরামিক, ওষুধ, চামড়া জাত পণ্য, হিমায়িত মৎস্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের মতো আন্তর্জাতিক মানের পণ্য ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র, সারাবিশ্বের অন্যান্য দেশে রফতানি করছে। 

তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা আরো অধিক প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে অধিকাংশ পণ্য ওমানে রফতানি করার ব্যাপারে আশাবাদী। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওমানের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের অবাধ প্রবেশে সেদেশের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, আমরা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ, জ্বালানি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, প্রযুক্তি, খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের মতো বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির উপায় খুঁজে বের করতে অবশ্যই একসঙ্গে কাজ করবো।

ড. মোমেন বলেন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজন দুই দেশের বেসরকারি সেক্টর ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততা। এজন্য আমাদের প্রয়োজন বিটুবি আলোচনা এবং  দুই দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে সফর বিনিময় করা প্রয়োজন। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে নতুন নতুন ব্যবসা খুঁজে বের করা এবং ব্যবসায়িক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ-ওমান ব্যবসায়ী ফোরাম গঠন করা যেতে পারে বলে জানান। দুটি দেশই এক অপরের রাজধানীতে আয়োজিত বাণিজ্য মেলায়ও অংশ নিতে পারে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের ব্যবসাবন্ধব পরিবেশের সুবিধা নিতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে ওমানের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ওমান ঢাকাসহ সারাদেশে হাইটেক পার্কে হোটেল, আবাসিক ও শপিং কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লু-ইকনোমি, জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প এবং জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী হলে তাদের ভূমি দেওয়ার আশ্বাস দেন। ব্লু-ইকনোমি, জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প এবং জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে বেশি করে বিনিয়োগ করতে ওমানের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।