অর্থ আত্মসাতের মামলায় সিনহার বিরুদ্ধে আজ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০১:২০ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার

এস কে সিনহা

এস কে সিনহা

ফারমার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে চার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আজ মঙ্গলবার দিন ধার্য রয়েছে।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে এ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন অনুষ্ঠিত হবে।

গত ৬ সেপ্টেম্বর ফৌজদারি কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় চার আসামি লিখিত বক্তব্য দেন। আসামিরা হলেন- ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, সাবেক এমডি এ কে এম শামীম ও সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন। এরপর আদালত যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে জামিনে থাকা আসামি ফারমার্স ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান, নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা উপস্থিত হন। এছাড়া কারাগারে আসামি ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতীকে আদালতে হাজির করা হয়।

তবে এ মামলার প্রধান আসামি সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ চার আসামি পালাতক থাকায় উপস্থিত ছিলেন না। অন্য তিন আসামি হলেন ফারমার্স ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়।

গত বছরের ১০ জুলাই দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকায় মামলাটি করেন। 

গত ১৩ আগস্ট আদালত এস কে সিনহাসহ ১১ জনের অভিযোগ গঠন করে বিচারের আদেশ দেন। এরপর গত ১৮ আগস্ট আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলার বাদী দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন সাক্ষ্য দেন। এর মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরপর গত ২২ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক বেনজীর আহমেদের জেরার মধ্য দিয়ে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এ মামলায় ২১ জন সাক্ষীর সবার সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। এ সময় আদালত আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ২৯ আগস্ট দিন ধার্য করেন।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অবৈধভাবে ভুয়া ঋণ সৃষ্টির মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করে নগদে উত্তোলন ও বিভিন্ন পে-অর্ডারের মাধ্যমে স্থানান্তর করে অর্জিত অপরাধলব্ধ আয় উত্তোলন, স্থানান্তর ও নিজেদের ভোগদখলে রেখে অবৈধভাবে প্রকৃত উৎস, অবস্থান গোপন করে পাচার করেছেন। পাচারের ষড়যন্ত্রে সংঘবদ্ধভাবে সম্পৃক্ত থেকে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।