বাকবাকুম করাই বিএনপির অদ্বিতীয় কাজ!

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০২:৪৫ পিএম, ২১ জুলাই ২০২১ বুধবার

সাংগঠনিক কার্যক্রম নেই, আছে শুধু একটাই কাজ। সরকারের বিরুদ্ধাচরণ করা। তাই হোক সেটা দুর্যোগকালীন কিংবা স্বাভাবিক সময়। তারই ধারাবাহিকতায় বিএনপি নেতৃবৃন্দ করোনা পরিস্থিতি নিয়েও কবুতরের মতো বাকবাকুম করছে। মিথ্যাচার করে বলছে, সরকার করোনায় মানুষের জন্য কিছুই করেনি। কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো, দেশে করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই সরকার জনমানুষের সুরক্ষায় বিরামহীনভাবে কাজ করছে। এমনকি বিশ্বের অনেক দেশও যখন টিকার দেখা পায়নি, তখন বিনামূল্যে গণটিকাদান কর্মসূচি পরিচালনা করছে। মূলত এসব দেখেই তাদের গাত্রদাহ এখন তুঙ্গে।

নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্যমতে, করোনার এই সংকটময় পরিস্থিতিতে সামান্য সময়ের জন্যেও জনমানুষের সেবায় নিযুক্ত হতে দেখা যায়নি বিএনপি নেতৃবৃন্দকে, যেখানে সরকার ও তার জনপ্রতিনিধিরা দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন জনগণের জীবন ও জীবিকার সুরক্ষায়। তবে মানুষের পাশে না থাকলেও দলটির নেতাকর্মীরা করোনা দুর্গতদের সাহায্যের কথা বলে ঠিকই দেশি-বিদেশি দাতাদের থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের অর্থ। মানুষকে না দিয়ে ভাগ-বাটোয়ারা করে নিচ্ছেন নিজেদের মধ্যে। আর ঘরে বসে উচ্চবাচ্য করে বলছেন, এই সময়ে মানুষের জন্য কি করেছে সরকার?

বাংলানিউজ ব্যাংকের অনুসন্ধানে জানা গেছে, সরকারি প্রচেষ্টায় দেশে করোনার ভ্যাকসিন আসার শুরু থেকেই সমালোচনা করে বিএনপি নেতারা বলছিলেন, তারা ভ্যাকসিন নেবেন না। এমনকি ভ্যাকসিন নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে মিথ্যাচার পর্যন্তও করেন তারা। কিন্তু সেসবে কাজ দেয়নি। সরকারের প্রতি আস্থা থেকে সবাই টিকা গ্রহণ শুরু করেন। সেই জোয়ারে তারেক রহমানের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিএনপি নেতৃবৃন্দ নিজেরাও টিকা নেন। যার সূত্র ধরে পরবর্তীতে তারেকের শাশুড়ি টিকা নেন। তার দেখাদেখি ও দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুলের পীড়াপীড়িতে টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ইতোমধ্যে এসএমএসও পেয়েছেন তিনি। শিগগিরই তিনি টিকা গ্রহণ করবেন বলে দলের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

মানুষের কাছে বিএনপির গ্রহণযোগ্যতা শূন্যের কোঠায় বলে দলটির নেতৃবৃন্দের মাথার ঠিক নাই উল্লেখ করে দেশের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিএনপি নেতারা নিজেদের দোষ-ত্রুটি ঢাকতে সরকারের বিরুদ্ধে যাচ্ছেতাই বলছেন, যার সিঁকেভাগেরও সত্যতা নেই। শুধুমাত্র গায়ের জোরে গুজব সেলের পেইড এজেন্টদের দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টিতেই তারা এই ন্যক্কারজনক কাজগুলো করছেন। আর সোশ্যালমিডিয়ায় বুলি আওড়াচ্ছেন, সরকার ব্যর্থ।

জনগণ বোকা নয়, প্রকৃত সত্য জানে মন্তব্য করে এই রাজনৈতিক বিজ্ঞজনরা আরও বলেন, মানুষ এখন আর বোকা নেই। তারা জানে কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা। কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ। তাইতো নিঃসঙ্কোচে মানুষগুলো সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলে। সঙ্গে এও বলে, করোনার মধ্যে সরকার যখন অসহায় ও দুস্থ মানুষের সেবায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে, তখন কেন বিএনপি নেতাকর্মীরা মানুষকে এক ফোঁটা চাল না দিয়ে শুধুই বকবক করছে? তার মানে তো এটাই যে, এই অপপ্রচার তাদের ধারাবাহিক মিথ্যাচারের অংশ বৈ অন্যকিছু নয়।