হাইকোর্ট খালেদার জন্মদিনের তথ্য চাওয়ায় বিপদে বিএনপি

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ১১:৪০ এএম, ১৫ জুন ২০২১ মঙ্গলবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন হিসেবে বিভিন্ন তারিখ ব্যবহার করায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার জন্মতারিখ বিষয়ে যাবতীয় তথ্য আগামী ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বাস্থ্যসচিবসহ বিবাদীদের প্রতি এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে হাইকোর্টের এমন সিদ্ধান্তের পর খানিকটা বিব্রতকর অবস্থানে রয়েছে বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। যদিও বিএনপির অনেকেই দাবি করছেন ১৫ আগস্ট খালেদার জন্ম হয়েছিল। তবে বহু খুঁজেও এই কথার পক্ষে কোন বিশ্বাসযোগ্য তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মৃত্যুর মধ্য দিয়েই খালেদাসহ আরও অনেক রাজনৈতিক আবর্জনার জন্ম হয়েছিল, মুজিব যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে খালেদার মতো রাজনৈতিক আবর্জনার জন্ম হতো না।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, বঙ্গবন্ধু যদি না মারা যেতেন তা হলে জিয়াউর রহমান প্রেসিডেন্ট হতেন না, আর জিয়া না মারা গেলে খালেদা জিয়া চিরকাল গৃহিনী থেকে যেতেন, সে হিসাবে যেদিন শেখ মুজিব মারা গেছেন সে দিন থেকেই খালেদা জিয়ার জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে। আর তাই ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবের মৃত্যু দিবস-এবং খালেদা জিয়ার জন্ম দিবস (পুনঃজন্ম)।

এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক ব্যঙ্গ করে বলেন, ভেবে দেখুন, ১৫ আগস্টের পর খালেদা জিয়া একজন সৈনিকের গৃহবধূ থেকে হয়ে গেলেন প্রেসিডেন্টের স্ত্রী, তারপর জিয়া মারা যাবার পর হয়ে গেলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী!! ভাবা যায়? কি সুন্দর সিনেমার মতো কাহিনী?? তবে একটা কথা বুঝতে পারিনা, ম্যাডাম কেন জিয়ার মৃত্যু দিবসে আর একটা জন্মদিন পালন করেন না? আসলে তো উনার প্রকৃত জন্মদিন হওয়া উচিত ছিলো ৩০ মে মেজর জিয়ার মৃত্যু দিবসে তাই না? কারণ, জিয়া না মারা গেলে তো ম্যাডাম আর ম্যাডাম হতেন না!

এদিকে খালেদা সমর্থকরা একটি পোস্টের মাধ্যমে ১৫ আগস্ট খালেদার জন্ম হয়েছিলো দাবি করে বিভিন্ন যুক্তি উপস্থাপন করেন এবং তর্কের এক পর্যায়ে খালেদা জিয়ার পাসপোর্টের ছবি দেখিয়ে সবাইকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন।

বহুবছর ধরে খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকীর দিন ১৫ আগস্টকে নিজের জন্মদিন দাবি করে আসছেন। অন্যদিকে বিরোধীদের মতে, তিনি ১৫ আগস্টে জন্মগ্রহণ করেননি। বঙ্গবন্ধুকে হেয় করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই দিনটিকে জন্মবার্ষিকী হিসেবে বেছে নিয়েছেন খালেদা জিয়া।