মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে ঈদ উদযাপনে ব্যস্ত বিএনপি

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০২:২৬ পিএম, ১০ মে ২০২১ সোমবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

করোনার দ্বিতীয় ঢেউর পর মানুষকে করোনার হাত থেকে বাঁচাতে লকডাউন দেয় বাংলাদেশ সরকার। এ সময় দেশের দরিদ্র শ্রেণির মানুষের পেটে অন্য তুলে দিতে নানা প্রণোদনারও ব্যবস্থা করেন তারা। কিন্তু দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপির চিত্র একেবারে ভিন্ন। দুখী মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে উল্টো নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত আছে বিএনপি।

যদিও দেশবাসী তাদের এই পৈশাচিক আচরণের প্রমাণ পেয়েছেন একাধিকবার। এবং করোনাকালীন এবার ঈদেও তার ব্যত্যয় হচ্ছে না। ইতোমধ্যে তারা দেখা-সাক্ষাৎ, শুভেচ্ছা বিনিময়, স্বজনদের বাসায় ঢুঁ মারা, ঈদের দিনে বৈকালিক আড্ডা, এমনকি বহুদিনের পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে মিট টুগেদার করারও পরিকল্পনা সাজিয়েছেন। অথচ চলমান করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সেবায় দিনরাত পরিশ্রম করছেন সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা। যেখানেই তারা দুর্গতদের খবর পাচ্ছেন, সেখানেই তাদের সহায়তায় ছুটে যাচ্ছেন।

বিশিষ্টজনদের অভিমত, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যকার পার্থক্য এখানেই। আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা যখন চলমান সংকটময় পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে নিরলস কাজ করছেন, সেখানে বিএনপি নেতাকর্মীরা নিজেদের আমোদ-ফুর্তি নিয়ে ব্যস্ত। এ থেকেই তাদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির সুস্পষ্ট প্রমাণ মেলে।

দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে এবারকার ঈদের চিত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। সবমিলিয়ে মানুষের উৎসব-আনন্দে শরিক হওয়ার মতো অবস্থা নেই। অথচ এসব নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই বিএনপি নেতাকর্মীদের। তাই তারা ঈদ ও নিজেদের মনোরঞ্জনের পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন।

অথচ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত পরিসরে ঈদ পালন করার চিন্তা করছেন। সঙ্গে করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজ-খবর নিয়ে তাদের সাধ্যমতো ঈদ উপহার পৌঁছে দিতে সকাল-সন্ধ্যা কিংবা মধ্যরাত, বিরামহীনভাবে কাজ করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপির অনেক কেন্দ্রীয় নেতা নিজেদের অবস্থান জানান কেউ কেউ যাকাত দিচ্ছেন। তবে সে সব পোশাকের অধিকাংশ নিম্নমানের। কারণ শাড়ি লুঙ্গি সবই ফুটপাত থেকে কেনা।

এ বিষয়ে পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, গরীব মানুষ বেশি দামি পোশাক পরিধান করেও ভিক্ষাই করবে। তাই তাদের শোরুমের পোশাক কিনে না দিয়ে ফুটপাতের পোশাক দেয়াই উত্তম।