হেফাজতের হামলায় নিহত হন আওয়ামী লীগ নেতা মুহিবুল্লাহ

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ১০:৩৩ এএম, ৯ মে ২০২১ রোববার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাঙ্গুনিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা মুহিবুল্লাহ খুনের সঙ্গে জড়িতদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তবে নিরপরাধ কেউ এ মামলায় আসামি হয়ে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের রেহাই দেবে পুলিশ। মামলায় আসামি হয়নি তবে পুলিশের তদন্তে কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।

শনিবার বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদালা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তথ্যমন্ত্রীর পারিবারিক প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে লকডাউনের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে একটি রিসোর্টে নারীসহ হেফাজত নেতা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করার খবর ছড়িয়ে পড়লে ৩ এপ্রিল রাতে রাঙ্গুনিয়ার কোদালায় একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন বিএনপি-জামায়াত ও হেফাজতের নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা মুহিবুল্লাহকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

মানুষের কাছে মুহিবুল্লাহ’র খুনিদের বিচার চেয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আগে কর্ণফুলী নদী বিধৌত এই কোদালা ইউনিয়নের সড়ক দিয়ে হাঁটা যেতো না, প্যান্ট তুলে কাদা মাড়িয়ে হাঁটতে হতো। এতগুলো নদীর ঘাট হয়নি, নদী ভাঙন রক্ষায় ব্লক হয়নি, সব আমাদের সরকার করেছে। লম্বা লম্বা কথা বলে মিছিল করবেন, আবার সেই মিছিল থেকে আমাদের কর্মীদের হত্যা করবেন, তা হতে পারে না।

তিনি বলেন, যারা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মিছিল দিয়ে মুহিবুল্লাহকে হত্যা করেছে, সেই জামায়াত-বিএনপি করোনাকালীন এই বিপদে মানুষের পাশে নেই। কোনো মানুষকে তারা এক মুষ্টি চালও দেয়নি। অথচ করোনার প্রথম থেকেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মানুষের পাশে থেকেছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার প্রথম দফায় আমার পারিবারিক প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সরকারি সাহায্যের পাশাপাশি রাঙ্গুনিয়ার ২০ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছিল। দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে এরই মধ্যে আরো ১০ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি বদিউল আলম মাস্টারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইছহাক সওদাগরের পরিচালনায় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইদ্রিছ আজগর, নজরুল ইসলাম তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক কাউছার নূর লিটন, সদস্য নাছির উদ্দিন প্রমুখ।

এ সময় ইউনিয়নের ৪শ’ দরিদ্র মানুষের মাঝে ত্রাণ সহায়তা তুলে দেয়া হয়। এর আগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী নিহত মুহিবুল্লাহ’র কবর জিয়ারত করেন ও তার পরিবারের কাছে ব্যক্তিগত উদ্যোগে একটি অটোরিকশা উপহার দেন। একই সঙ্গে মুহিবুল্লাহ’র স্বজনদের গভীর সমবেদনা জানান।