কুমিল্লায় ব্যস্ত সময় পার করছেন সেমাই কারখানার শ্রমিকরা

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ১২:৩৬ পিএম, ৪ মে ২০২১ মঙ্গলবার

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

ঈদের দিনের একটি বহুল প্রচলিত ও জনপ্রিয় খাবার সেমাই। ঈদ উপলক্ষে কুমিল্লার বিসিক সেমাই কারখানার শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। কারখানাগুলোতে বাংলা ও লাচ্ছা নামের দুই ধরনের সেমাই তৈরি করা হয়। 

কুমিল্লা বিসিকের পাঁচটি কারখানায় সেমাই উৎপাদন করা হয়। কুমিল্লা ফ্লাওয়ার মিল, মেট্রো কনফেকশনারি, খন্দকার ফুড, রিয়াজ ফ্লাওয়ার মিল ও মক্কা কনজুমার অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস। বিসিক ছাড়া কুমিল্লা আদর্শ সদর ও বিভিন্ন উপজেলায় সেমাই উৎপাদন হয়ে থাকে। তবে সেই কারখানাগুলোর নির্দিষ্ট সংখ্যা জানা যায়নি।

কুমিল্লা বিসিকের একটি কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, মেশিনে বাংলা সেমাই উৎপাদন করা হচ্ছে। সেই সেমাই ছাদে ঝুলিয়ে শুকানো হচ্ছে। তারপর প্যাকেটজাত করছেন শ্রমিকরা। এদিকে লাচ্ছা সেমাই তেলে ভাজা হয়। ভাজা সেমাই প্যাকেটজাত করেন শ্রমিকরা। ঈদের ১০দিন বাকী। তাই দ্রুত সেমাই গাড়ি যোগে বাজারে পৌঁছে দিচ্ছেন কারখানার মালিকরা। 

কুমিল্লা ফ্লাওয়ার মিলের ব্যবস্থাপক সৈয়দ গোলাম কাদের বলেন, আমরা ১০ বছর ধরে মান সম্মত উপায়ে সেমাই তৈরি করি। ঈদের মৌসুমে বেশি সেমাই উৎপাদন হয়। উৎপাদিত সেমাইয়ের নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। তা কয়েক মাস বিক্রি করা যায়। 

তিনি আরো বলেন, আমাদের সেমাই বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলে বেশি বিক্রি হয়ে। বাংলা সেমাই চরাঞ্চলে বেশি বিক্রি হয়। বাংলা সেমাই আল-নূর ও কুলসুম নামে ও লাচ্ছা সেমাই তানিন নামে বাজারজাত করি। করোনার কারণে গত দুই বছর সেমাইয়ের চাহিদা কম, তাই উৎপাদনও কম করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) কুমিল্লার ডিজিএম মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কুমিল্লা বিসিকে উৎপাদিত সেমাই মান সম্মত। সেমাই উৎপাদনে যেন মান রক্ষা করা হয় সেজন্য আমরা নিয়মিত কারখানা পরিদর্শন করি।