বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে গণপরিবহন পরিচালনার দাবি

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০৯:৩৭ এএম, ২৬ এপ্রিল ২০২১ সোমবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

চলমান লকডাউন শেষে ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে যত সিট তত যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন পরিচালনার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

শনিবার বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

তিনি বলেন, এর আগে দুই দফা লকডাউনের পর গণপরিবহন চালু করা হলেও সিংহভাগ গণপরিবহন যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেনি। ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া পরিশোধ করেও অধিকাংশ গণপরিবহনে বাদুড়ঝোলা করে যাত্রী বহন করা হয়েছে।

মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী আরো বলেন, গণপরিবহনে এ বর্ধিত ভাড়া করোনা সংকটে কর্মহীন ও আয়-রোজগারহীন দিশেহারা সাধারণ মানুষের মরার ওপর খাড়ার ঘায়ে পরিণত হয়েছে। এমন বাস্তবতা সামনে রেখে এবার গণপরিবহন চালুর ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করা হলে গণপরিবহন সেক্টরে নৈরাজ্য-বিশৃঙ্খলার পাশাপাশি করোনা সংক্রমণও বেড়ে যাবে।

মহাসচিব বলেন, গণপরিবহনে বেশিরভাগ সময় চালক-হেলপার দুজনে গণপরিবহন পরিচালনার কাজে ব্যস্ত থাকে। এ কারণে এসব পরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি ঠিকমত মানা হয় না। কেননা চালক গাড়ি চালানো ও হেলপার যাত্রী উঠা-নামা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ভাড়া আদায়ে ব্যস্ত থাকেন।

তিনি বলেন, এতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ যেমন- বাসে উঠার সময় যাত্রীর হাতে হ্যান্ড-স্যানিটাইজার দেয়া, মাস্কবিহীন যাত্রী উঠছে কি-না পর্যবেক্ষণ করা, কিছুক্ষণ পরপর যাত্রী উঠা-নামার হ্যান্ডেল বা হাতল স্যানিটাইজ করা, যাত্রী নামার পর খালি সিট স্যানিটাইজ করা, প্রতিটি বাস ছাড়ার পূর্বে সবকটি আসন স্যানিটাইজ করা, যাত্রী নামানোর পর সবকটি আসন পুনরায় স্যানিটাইজ করার জন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে তৃতীয় পক্ষকে দায়িত্ব দেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।

করোনার ভয়াবহ এ সংকটকালে গণপরিবহন চালুর ক্ষেত্রে জাতীয় দুর্যোগ বিবেচনায় নিয়ে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়ার তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন।