চিকিৎসা সামগ্রী উৎপাদনে ১৫০ কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ১০:০০ এএম, ২০ এপ্রিল ২০২১ মঙ্গলবার | আপডেট: ০১:২২ পিএম, ২০ এপ্রিল ২০২১ মঙ্গলবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

বৈশ্বিক প্রাণঘাতী মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) ও চিকিৎসা সামগ্রী উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশকে ১৫০ কোটি টাকার অনুদান দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) প্রকল্পের আওতায় এ অর্থায়ন করবে আন্তর্জাতিক আর্থিক এ সংস্থাটি। 

এ প্রকল্পের আওতায় মেডিকেল অ্যান্ড পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (এমপিপিই) পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ‘কোভিড-১৯ এন্টারপ্রাইজ রেসপন্স ফান্ড’-এর মাধ্যমে সহায়তা প্রদান করা হবে।

প্রকল্পের আওতায় ম্যাচিং গ্রান্ট প্রোগ্রামের দি এক্সপোর্ট রেডিয়েন্স ফান্ড (ইআরএফ) হিসাবে এক কোটি ৭৫ লাখ মার্কিন ডলার বা ১৫০ কোটি টাকার সহায়তা প্রদান করা হবে। অনুদান পেতে সোমবার থেকেই আবেদন করা যাচ্ছে। অনুদান পাওয়া যাবে ৫০ হাজার থেকে পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার পর্যন্ত।

এ অনুদান পাওয়ার যোগ্য হবে এমপিপিই পণ্য সামগ্রী উৎপাদনে সক্ষম প্রতিষ্ঠানগুলো। অনুদান আবেদনকারী ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিভুক্ত হলে এ প্রকল্প থেকে ৬০ শতাংশ অনুদান পাবে। আর আবেদনকারীর অংশগ্রহণ থাকবে ৪০ শতাংশ। এছাড়া বৃহৎ শিল্পের ক্ষেত্রে অনুদানের পরিমাণ হবে ৫০ শতাংশ।

যেসব পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে অনুদান প্রযোজ্য

পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই), ডায়াগনস্টিক ইকুইপমেন্ট, ক্লিনিক্যাল কেয়ার ইকুইপমেন্ট। এমপিপিই পণ্যের ডিজাইন ও কারিগরি মানের উন্নয়ন, প্যাকেজিং ও বৈচিত্র্য আনয়ন এবং ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইন প্রণয়ন, এমপিপিই পণ্যের সহায়তামূলক কর্মকাণ্ড যেমন- গবেষণা, পণ্য উন্নয়ন, টেস্টিং ও সার্টিফিকেশন ও নতুন উদ্ভাবন।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এ কর্মসূচি একটি মাইলস্টোন। এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) উৎপাদন, ডায়াগনস্টিক ইকুইপমেন্ট ও ক্লিনিক্যাল ইকুইপমেন্ট তৈরিতে যুক্ত উদ্যোক্তারা আর্থিকভাবে উপকৃত হবেন। এ ধরনের সহায়তা সময়োপযোগী পদক্ষেপ। আমাদের দক্ষতা দিয়ে এ কর্মসূচিকে বাস্তবায়ন করতে হবে। এ তহবিলের মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং বিশ্বের মানুষ উপকৃত হবে।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, রফতানি পণ্যের বৈচিত্র্য বৃদ্ধি সরকারের সামনে বড় একটি চ্যালেঞ্জ। কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধির চ্যালেঞ্জ তো রয়েছেই। উভয় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এ প্রকল্প ভূমিকা রাখবে।