প্রতিশ্রুতি পূরণ করলেই ইরানের পরমাণু চুক্তিতে ফিরবে ‍যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০৫:৩৫ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০২১ বৃহস্পতিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত পররারাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, প্রতিশ্রুতি মেনে চললেই ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি হবে বলে মন্তব্য করেছেন। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার প্রথম দিনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়, অ্যান্টনি ব্লিনকেন ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিতে ফিরে যেতে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের আগ্রহের কথা নিশ্চিত করেছেন। তবে এই প্রক্রিয়া যাচাই করতে যুক্তরাষ্ট্র বেশ সময় নিবে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। দ্রুত চুক্তিতে যেতে ইরানের চাপ রয়েছে এমন কথা নাকচ করে দিয়েছেন বাইডেন প্রশাসনের এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

যুক্তরাষ্ট্রের সময় বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, পরমাণু চুক্তির বেশ কয়েকটি শর্ত ইরান পূরণ করেনি। শর্ত পালন করলে সেটা মূল্যায়ন করেই তাদের সঙ্গে চু্ক্তি শুরু হতে পারে।

প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে উদ্ধৃতি করে ব্লিনকেন বলেন, প্রেসিডেন্ট পরিষ্কার করেছেন যে ইরান যদি চুক্তির শর্ত সম্পূর্ণ মেনে চলে তাহলে যুক্তরাষ্ট্রও তেমনটি করবে। তবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ চুক্তিতে ফিরতে বাইডেন প্রশাসনের প্রতি ট্রাম্পের আরোপ করা অবরোধ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে বাইডেনের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সামান্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। এটা ইরানের অবরোধ তুলতে বেগ পোহাতে হবে বলেও ইরানের সরকারি কর্মকর্তারা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।

ইরানের সঙ্গে ফের পরমাণু চুক্তি হলে সেটা দীর্ঘস্থায়ী এবং শক্তিশালী হবে ঘোষণা দিয়ে অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, চুক্তি এমনভাবে হবে যেন অন্য গভীর সমস্যগুলোও সমাধান হয়। ব্লিনকেন ইরানের ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিও তাদের প্রক্সি যুদ্ধের বিষয়টি না আনলেও বাইডেন পূর্বে এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন।

২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও অন্য ছয়টি রাষ্ট্র পরমাণু চুক্তি করেন যা জয়েন্ট কমপ্রিহেন্সিভ প্লান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) নামে পরিচিত। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে এই চু্ক্তি বাতিল করেন। ইরান পরমাণু অস্ত্র সীমিত রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবে বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ ওই ছয়টি রাষ্ট্র ইরানের প্রতি বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা শিথিল করবে এই শর্তে ওই পরমাণু চুক্তি করা হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প শুধু চুক্তি বাতিল করেই ক্ষান্ত হননি, ইরানের প্রতি একের পর অর্থননৈতিক সামরিক এবং ব্যবসায়িক অবরোধও আরোপ করেন তিনি।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দুই বৈরি দেশের মধ্যে উত্তেজনার মধ্যে ওয়াশিংটন এবং তেহরান সামরিক শক্তি প্রদর্শন করেছে। ট্রাম্প প্রেসিডেন্সির সময়ে যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

এদিকে গত মঙ্গলবার ইসরায়েলের শীর্ষ জেনারেল ইরানের বিরুদ্ধে আক্রমণের নতুন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। যদিও তেহরান ইসরায়েলের আক্রমণের হুমকির বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ২০১৫ সালের চুক্তিতে ফেরা ভুল হবে বলেও ইসরায়েলের ওই সামরিক প্রধান মন্তব্য করেছেন।