ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি যে কারণে কৃতজ্ঞ সেনাবাহিনী

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৫৯, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

মেজর জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ

মেজর জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ

বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবার ক্ষমতায় এসে সেনাবাহিনীর জন্য দুই বেলা ভাতের ব্যবস্থা করেছিলেন। এর আগে সৈনিকরা ১ বেলা ভাত ও বাকি দু বেলা শুকনো খাবার পেত।

শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে সৈনিকদের জন্য তিনি দুই বেলা আমিশের ব্যবস্থা করেছেন। এর আগে সৈনিকরা এক বেলা আমিশ পেত।

একটি টেলিভিশন টকশোতে এটিকে সেনাবাহিনীর আবেগের জায়গা বলে উল্লেখ করেছেন মেজর জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে সেনাবাহিনীর মৌলিক ভিত্তি শক্তিশালী করে এমন কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। যেই প্রতিষ্ঠানগুলো ছাড়া একটি বাহিনীর উন্নয়ন সম্ভভ নয়।

ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং, বাংলাদেশ ইস্ট ব্যাঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টার-বিআইআরসি, আর্ম ফোর্স মেডিকেল কলেজ সহ যুগান্তকারী সব প্রতিষ্ঠান প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই হয়েছে।

ইনফ্যান্ট্রি সোলজার সিস্টেমটি বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক সৈনিকরা ব্যবহার করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে এই ইনফ্যান্ট্রি ব্যবস্থা সেনাবাহিনীতে যুক্ত করেছিলেন।

এর মধ্যে রয়েছে প্রতিটি সেনার জন্য নাইট ভিশন গগলস, ব্যালিস্টিক হেলমেট, চোখ সুরক্ষা সরঞ্জাম, বুলেটপ্রুফ ভেস্ট, ব্যক্তি-থেকে-ব্যক্তি যোগাযোগের যন্ত্র, হাতে বহনযোগ্য জিপিএস যন্ত্র এবং কলিমেটর সাইট যুক্ত বিডি-০৮ রাইফেল।

সিলেটে ১৭ ডিভিশনের জন্য একটি নতুন সেনানিবাস, রামুতে ১০ ডিভিশন, লেবু খালিতে ৭ ডিভিশন এবং ৯৮ কম্পোজিট ব্রিগেডের জন্য যমুনা নদীর পাড়ে ও ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেডের জন্য পদ্মা নদীর পাড়ে সেনানিবাস তৈরী করে দিয়েছেন।

সেনাবাহিনীতে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে সেনাবাহিনীতে সৈনিক থেকে শুরু করে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, পাইলটসহ সব স্তরেই নারীর পদচারণা রয়েছে।

জাতিসংঘে কন্টিজেন্ট কমান্ডার হিসেবে ইতিমধ্যে দুইজন নারী সদস্যকে পাঠানো হয়েছে। যার সারা বিশ্বে আইকন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

উল্লেখ্য বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে ১৯৭১ সালে সেনাবাহিনীর মূল ভিত্তি তৈরি হয়েছে। সে সময়ে সেনাবাহিনীর যে সমস্ত কম্পোনেন্ট দরকার সেগুলো হয়েছে সেগুলো ৭২-৭৩ সালের মধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।

এছাড়া ৭৪ সালে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি হয়েছে। এমনকি ৭৫ এ ডিপেন্স পলেসি ও আমাদের পিজিআর হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কাজগুলো অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে করেছেন। আর প্রধানমন্ত্রী এ সকল কাজে সেনাবাহিনীও কৃতজ্ঞ।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়