নাইকো দুর্নীতি মামলার বিচার শুরু : আবার জেলে যেতে পারেন খালেদা!
নিউজ ডেস্ক

খালেদা জিয়া
আলোচিত নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। অভিযোগ গঠনের ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। এ খবর চাউর হতেই বিএনপি নেতাদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকে মনে করছেন, খালেদা জিয়ার রাজনীতি করার মুরোদ শেষ এখন তাকে নিয়ে পড়ে থাকা মানে সময় নষ্ট করা। অনেকে নতুন করে আবার খালেদার জেলে যাওয়ার শঙ্কা করছেন।
বিএনপি নেতারা বলছেন, নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার নতুন করে সাজা হলে তাকে আবার জেলে যেতে হবে। আর আবার তিনি জেলে গেলে কিছুই করার থাকবে না বিএনপির। কারণ, এর আগে দলের নেতারা খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে।
ভবিষ্যতেও কিছু করতে পারবে না বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
আইনজ্ঞরা বলছেন, এমনিতেই দুইটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বেগম খালেদা জিয়া। নাইকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে- এ মামলাতেও তিনি সাজাপ্রাপ্ত হবেন। নতুন সাজার বোঝা যুক্ত হবে কাঁধে। খালেদা জিয়া সরকারের নির্বাহী আদেশে বাসায় থাকার সুযোগ পেলেও নতুন করে সাজাপ্রাপ্ত হলে তাকে আবার জেলে যেতে হবে। পরবর্তীতে যদি সরকার কোনো বিশেষ সুবিধা দিতে চায় সেটি পরবর্তী বিষয়। তবে সাজা হলে অবশ্যই খালেদা জিয়াকে জেলে যেতে হবে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেছেন, খালেদা জিয়া বাসায় থাকলেও যা জেলে গেলেও তা। খালেদা জিয়ার এখন আর রাজনীতি করার কোনো পরিস্থিতি নেই। নির্বাচন আসন্ন, এখন খালেদা জিয়াকে নিয়ে পড়ে থাকলে শুধু সময়ই নষ্ট হবে। হয় আন্দোলন করতে হবে আর না হয় সরকারের সাথে সমঝোতা করে পার্লামেন্টে যেতে হবে।
তবে এ মামলার বিচার শুরু হওয়ায় জিয়া পরিবারে নতুন দুঃশ্চিন্তা যোগ হয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করা হয়। ২০১৮ সালের ৫ মে বেগম খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনে দুদক। এ মামলার অন্য সাত আসামি হলেন- তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্র্যাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
- হলুদ সাংবাদিক কনক সারোয়ার গুজবের জন্মদাতা
- খালেদার বিদেশে চিকিৎসার আবেদন নামঞ্জুরের পেছনে ফখরুলের ষড়যন্ত্র
- হ্যাঁ-না ভোট ও জিয়ার জোরপূর্বক রাষ্ট্রপতি হওয়া
- ‘পাক সেনা ক্যাম্পের নারী সাপ্লায়ার’ ছিলেন সাঈদী
- বাবুনগরী-মামুনুল এর ষড়যন্ত্র ফাঁস : ক্ষমতার লোভে আল্লামা শফি খুন
- তারেকই বিএনপির প্রধান, নিরুপায় হয়ে পড়েছেন খালেদা
- অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে তৎপরতা চালাচ্ছে তারেক
- অবশেষে ব্যর্থ হয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন থেকে সরে আসলো বিএনপি
- বিএনপি নামক দলের সমর্থন করার কোনো মানেই হয় না: ডা. জাফরুল্লাহ
- রোজিনাকাণ্ড: রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে সম্পর্কে ফাঁটল ধরানোই টার্গেট