বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চল ইতোমধ্যে সাড়া জাগিয়েছে
নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চল ইতোমধ্যে সাড়া জাগিয়েছে
সফররত ভারত চেম্বার অফ কমার্স-এর প্রেসিডেন্ট এন.জি খাইতান বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহ ইতোমধ্যে যথেষ্ঠ সাড়া জাগিয়েছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের কাতারে দ্রুত সংযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হবে এমন মতপ্রকাশ করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে ফলপ্রসু আলোচনার আরো সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এবং সফররত ভারত চেম্বার অফ কমার্স-এর প্রতিনিধিবৃন্দের মধ্যে এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন। বেজা কার্যালয়ে বেজা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুনের সভাপতিত্বে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বেজার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
বেজা’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রসমূহ যাচাইয়ের জন্য ভারত চেম্বার অফ কমার্স-এর প্রেসিডেন্ট এন.জি খাইতান এর নেতৃত্বে ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি দল বর্তমানে চার দিনের বাংলাদেশ সফরে রয়েছে।
মতবিনিময় সভায় বেজা’র সার্বিক কর্মকান্ড নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন বেজা’র মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ হাসান আরিফ। সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চেম্বার অফ ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার উল আলম চৌধুরী।
সভায় বেজা নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্থাপিতব্য অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরে বলেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিবছর অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমানের পণ্য উৎপাদন বা রপ্তানি আয়ের প্রত্যাশা নিয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বেজা নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহ্যগতভাবে একটি চমকপ্রদ মেলবন্ধন বিরাজমান এবং এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আরো সুসংহত করতে বেজা প্রতিনিয়ত কাজ করছে। তিনি বলেন, বেজা দুইটি ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে কাজ করছে, যার একটি দু’দেশের সীমান্তবর্তী স্থান মোংলায় এবং অপরটি চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরের মিরসরাই অংশে অবস্থিত।
তিনি জানান, এই অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহের জন্য প্রকল্প পরিকল্পনা ছাড়াও আইনী দলিলাদি প্রস্তুতির কাজ চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, দু’দেশের সীমান্তবর্তী আরো কিছু স্থানে যেমন- কুষ্টিয়া, পঞ্চগড়, নীলফামারীতেও বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টির জন্য বেজা কাজ করছে। এশিয়ান পেইন্টস, ম্যারিকো, সাকাতাসহ বেশ কয়েকটি ভারতীয় বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করেছে বলে তিনি জানান।
শেখ ইউসুফ হারুন জানান, সকল অর্থনৈতিক অঞ্চলে মোট ৩৮টি প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করেছে। এর মধ্যে সরকারী অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৫টি, বেসরকারী অর্থনৈতিক অঞ্চলে রয়েছে ৩৩টি। দেশের প্রথম পরিকল্পিত ও স্মার্ট শিল্প নগর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। প্রয়োজনীয় সকল ইউটিলিটি সুবিধা নিশ্চিতের মাধ্যমে বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারের সমন্বয়ে বেজা একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ শিল্প নগর স্থাপনে কাজ করছে। দাখিলকৃত বিনিয়োগ প্রস্তাব অনুযায়ী, এখানে মোট বিনিয়োগ হবে প্রায় ১৮.২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এসময় কলকাতার ব্যবসায়ী প্রতিনিধিবৃন্দ শিল্পে কর অবকাশ, বিনিয়োগের প্রকৃতি, আমদানি ও রপ্তানি বিধি এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে মতবিনিময় করেন। প্রতিনিধিবৃন্দের প্রধান হিসেবে ভারত চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট এন.জি খাইতান বলেন, বাংলাদেশের আতিথেয়তায় তারা সবাই মুগ্ধ হয়েছেন।
সফরকালে সংগঠনটি ইতোমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ ঢাকার শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠন সমূহের সাথে মতবিনিময় করেছে।
- সুখবর আসছে ব্যাংক সুদে
- নতুন ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান চূড়ান্ত
- সংকটের মধ্যেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে রেকর্ড
- সাইবার হামলা: নিজস্ব কার্ডের বাইরে লেনদেন স্থগিত
- জাতীয় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের সীমা কমলো
- করোনা সংকটেও বিসিক শিল্প নগরীতে চাল উৎপাদন অব্যাহত
- ঈদের ছুটিতে বন্দরে ডেলিভারি স্বাভাবিক রাখার উদ্যোগ
- দেশ সেরা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিতে যুক্ত হলো পারটেক্স বেভারেজ
- পাঁচ লাখ টাকার রেমিট্যান্সে কাগজপত্র ছাড়াই প্রণোদনা
- মিনিস্টার হাই-টেক পার্ক পরিদর্শনে কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার