সত্যকে মিথ্যা, মিথ্যাকে সত্য বলে উপস্থাপন করে ড. শাহদীন মালিক
রাজনীতি ডেস্ক

ড. শাহদীন মালিক
সব আইনজীবীই সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য মামলা লড়েন, পারিশ্রমিক নেন। কিন্তু ড. শাহদীন মালিকের বিষয়টি ভিন্ন। সত্য কিংবা মিথ্যা কোনোটাই তার কাছে গুরুত্ব বহন করে না। গুরুত্ব বহন করে টাকা। টাকা পেলে তিনি সত্যকে মিথ্যা, মিথ্যাকে সত্য বলে উপস্থাপন করেন মহামান্য আদালতের কাছে। ড. শাহদীন মালিক সম্পর্কে এমন মন্তব্যই করেছেন তার আইন অঙ্গনের সহকর্মীরা।
শুধু প্রতারণাই নয়, নৈতিক স্খলনের চরম সীমায় পৌছেছেন তিনি। দেশের বিশিষ্ট আইনজ্ঞ, বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজে সুপরিচিত ব্যক্তি ড. শাহদীন মালিক কন্যা-সমতুল্য তরুণীর সঙ্গে গভীর এক অসম প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন। নিয়মিত অন্তরঙ্গ সময় কাটান ব্যারিস্টার সিনথিয়া ফরিদের সঙ্গে।
শুধু সিনথিয়া নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনাকালে খালেদা হক নামে সুন্দরী ছাত্রীর প্রেমে পড়েন তিনি। যা লিভ টুগেদার পর্যন্ত গড়ায়। কিন্তু বাধ সাধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেরসিক কর্তৃপক্ষ। সুন্দরী খালেদা হকের সঙ্গে লিভ টুগেদারের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিটি পর্যন্ত হারাতে হয়েছিল তাকে।
ড. শাহদীন মালিক স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির পক্ষে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর খুনির আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশও করেছিলেন তিনি। এখন ক্রমাগত সুশিল বাবু সেজে বিএনপি-জামায়াতের পক্ষে গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছেন।
তার সম্পর্কে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক বলেন, স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তির প্রতি বিনয়ী হলেও নিজের রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রকাশ্যে আনতেন না ড. শাহদীন মালিক। তবে সুযোগের সদ্ব্যবহার কিভাবে করতে হয় তা বেশ ভালো করেই জানা ছিল তার। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের শিক্ষক হন তিনি। কিন্তু পরকিয়ার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় চাকরিচ্যুত হন।
২০০১ সালের নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াতের আশীর্বাদে অবৈধভাবে বিপুল সম্পত্তির মালিক বনে যান ড. শাহদীন মালিক। এর মধ্যে বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব ল’ এন্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স (বিলিয়া) এর অর্থ কেলেঙ্কারি ছিল অন্যতম।
সূত্রের খবরে জানা যায়, শাহদীন মালিক ও ড. কামাল হোসেন বিগত ৮-৯ বছর যাবৎ বিলিয়া দখল করে আছেন। সেখানে সরকারবিরোধী অনেক গোপন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ড. কামাল হোসেন ছিলেন এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান। আর প্রেসিডেন্ট ছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমান শেলী। বিলিয়ার চেয়ারম্যান পদটি নির্বাহী ক্ষমতাসম্পন্ন পদ। বিচারপতি হাবিবুর রহমান শেলীর মৃত্যুর পর ড. কামাল হোসেন প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হলেও প্রায় সাড়ে তিন বছর চেয়ারম্যানের পদটি আঁকড়ে ধরে রেখেছিলেন।
মনোনীত চেয়ারম্যান যাতে দায়িত্ব নিতে না পারেন সেই জন্য প্রায় সাড়ে তিন বছর বিলিয়ার সভা ডাকা হয়নি। এছাড়া শাহদীন মালিকের কারণে গত কয়েক বছর ধরে বিলিয়ায় আয়-ব্যয়ের কোন অডিট হচ্ছে না। এই প্রতিষ্ঠানে অনেক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, এই অনিয়মে ওতপ্রোতভাবে জড়িত শাহদীন মালিক নিজেই।
- হলুদ সাংবাদিক কনক সারোয়ার গুজবের জন্মদাতা
- খালেদার বিদেশে চিকিৎসার আবেদন নামঞ্জুরের পেছনে ফখরুলের ষড়যন্ত্র
- হ্যাঁ-না ভোট ও জিয়ার জোরপূর্বক রাষ্ট্রপতি হওয়া
- ‘পাক সেনা ক্যাম্পের নারী সাপ্লায়ার’ ছিলেন সাঈদী
- বাবুনগরী-মামুনুল এর ষড়যন্ত্র ফাঁস : ক্ষমতার লোভে আল্লামা শফি খুন
- তারেকই বিএনপির প্রধান, নিরুপায় হয়ে পড়েছেন খালেদা
- অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে তৎপরতা চালাচ্ছে তারেক
- অবশেষে ব্যর্থ হয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন থেকে সরে আসলো বিএনপি
- বিএনপি নামক দলের সমর্থন করার কোনো মানেই হয় না: ডা. জাফরুল্লাহ
- রোজিনাকাণ্ড: রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে সম্পর্কে ফাঁটল ধরানোই টার্গেট