নির্বাচনী ইশতেহারে সাজানো হবে বাজেট
নিউজ ডেস্ক
![নির্বাচনী ইশতেহারে সাজানো হবে বাজেট নির্বাচনী ইশতেহারে সাজানো হবে বাজেট](https://www.banglarkolorob.com/media/imgAll/2020Aprila/New-Project---2024-04-05T092123643-2405140343.jpg)
নির্বাচনী ইশতেহারে সাজানো হবে বাজেট
বাজারমূল্য ও আয়ের মধ্যে সঙ্গতি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ বিভিন্ন বিষয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করেছিল আওয়ামী লীগ। ইশতেহারে স্লোগান ছিল- ‘স্মার্ট বাংলাদেশ : উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’। আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে তার প্রতিফল থাকবে।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটবিষয়ক প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা সংক্রান্ত বিশেষ সভায় অর্থ বিভাগের তরফ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। বাজেটে নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিফলন থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াশিকা আয়শা খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার, অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারসহ বাজেট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র জানায়, সভায় বাজেটের আকার তুলে ধরেন অর্থ সচিব। এ সময় প্রধানমন্ত্রী জানতে চান-আগামী অর্থবছরের বাজেটে নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিফলন থাকছে কিনা? জবাবে অর্থ বিভাগের তরফ থেকে জানানো হয়, নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিফলন থাকছে। বিষয়টি মাথায় রেখেই আগামী বাজেটে জনগণের ওপর মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, বিলাসবহুল জিনিসপত্র আমদানি নিরুৎসাহিত করা ও সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) বাড়ানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হবে। পাশাপাশি সতর্কতার সঙ্গে প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
আগামী বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়বে বলে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াশিকা আয়শা খান। বাজেটে কর অবকাশ সুবিধা উঠিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি জানান, যেসব খাত দীর্ঘদিন কর অবকাশ সুবিধা পেয়ে আসছে, সেসব খাত কর অব্যাহতির সুবিধা উঠিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটি খতিয়ে দেখছি। কয়েকটি খাত গত ২০ থেকে ২৫ বছর ধরে কর অবকাশ সুবিধা পেয়ে আসছে। ফলে তারা যথেষ্ট সক্ষমতা অর্জন করেছে এবং দেশের বাজার দখলে নিয়েছে। এ সুবিধা উঠিয়ে নিলে এসব খাতের উদ্যোক্তারা রপ্তানির প্রতি মনোযোগী হবেন। এতে বাড়তি সুবিধা হারাবে ঠিকই কিন্তু সেটি রপ্তানির মাধ্যমে পুষিয়ে নিতে পারবে। টেকসই অর্থনীতির স্বার্থে সেদিকে যাওয়ার প্রয়োজন।
অর্থ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, আগামী বাজেটের আকার প্রাক্কলন করা হয়েছে ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। বিপরীতে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ৫ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। আর দেশি-বিদেশি বিভিন্ন উৎস থেকে ২ লাখ ৫৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে বাজেট ঘাটতি মেটানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ১ লাখ কোটি টাকার বিদেশি ঋণ পাওয়া যাবে বলে আশা করছে সরকার। বাকি ১ লাখ ৫৭ হাজার কোটি টাকা দেশের ব্যাংকিং খাতসহ অন্যান্য উৎস থেকে ঋণ নেওয়া হবে।
- নতুন ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান চূড়ান্ত
- সুখবর আসছে ব্যাংক সুদে
- সংকটের মধ্যেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে রেকর্ড
- ঈদের নতুন টাকা পাওয়া যাবে আজ থেকে
- সাইবার হামলা: নিজস্ব কার্ডের বাইরে লেনদেন স্থগিত
- জাতীয় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের সীমা কমলো
- করোনা সংকটেও বিসিক শিল্প নগরীতে চাল উৎপাদন অব্যাহত
- দেশ সেরা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিতে যুক্ত হলো পারটেক্স বেভারেজ
- ঈদের ছুটিতে বন্দরে ডেলিভারি স্বাভাবিক রাখার উদ্যোগ
- নতুন করে পুঁজিবাজারে আসছে আরও অন্তত ১৩টি কোম্পানি