ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

পুলিশ ডেকে ঘুম ভাঙাতে হলো যুবকের!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:১২, ২২ নভেম্বর ২০২১  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

স্ত্রী গেছে বাপের বাড়ি। ঘুমকাতুরে স্বামীর কাজে যেতে দেরি হয়ে যায়, সে জন্য পাশের ফ্ল্যাটের এক জনকে ফোন করে ডেকে দিতে বলেছিলেন তিনি। কিন্তু ঘুম ভাঙাতে যে রীতিমতো ‘যুদ্ধ’ করতে হবে, কে জানত! কয়েক ঘণ্টা ধরে ডাকাডাকিতে কাজ হয়নি। শেষে পুলিশ এসে দরজার তালা ভাঙার পরে ঘর থেকে ঘুমচোখে বেরিয়ে আসেন বছর বিয়াল্লিশের ওই যুবক। তার পরেই নিশ্চিন্ত হয়ে থানায় ফেরে পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটে ভারতের হুগলির চুঁচুড়ার বড়বাজারে। সেখানের একটি আবাসনের তিন তলার ফ্ল্যাটে থাকেন ওই দম্পতি। যুবক ট্রেন-চালক। একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তার স্ত্রী বর্ধমানের মেমারিতে বাপের বাড়ি গিয়েছিলেন। যুবক ফ্ল্যাটে একাই ছিলেন। সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ এক প্রতিবেশীকে ফোন করে বলেন, তিনি যেন স্বামীকে ডেকে দেন। ওই প্রতিবেশী জানান, সেই মতো তিনি ডাকতে যান। অনেকক্ষণ পরেও সাড়া না পেয়ে তিনি অন্যদের ডাকেন। সকলে মিলে সুর চড়িয়ে বহু ডাকাডাকি, অসংখ্যবার কলিং বেল বাজানো, দরজায় ধাক্কাধাক্কি সত্ত্বেও ভেতর থেকে কোনো সাড়া মেলেনি।

এর পরে তারা যুবকের স্ত্রীকে ফোন করে বিষয়টি জানান। বিপদ আঁচ করে তিনি দরজা ভাঙার পরামর্শ দেন। ততক্ষণে দুপুর গড়িয়েছে। খবর পেয়ে বেলা ২টার দিকে চুঁচুড়া থানার পুলিশ আসে। কিন্তু পুলিশের হাঁকডাকেও কাজ হয়নি। শেষে মিস্ত্রি ডেকে ছেনি-হাতুড়ির ঘায়ে কোলাপসিবল গেটের তালা ভাঙা হয়। ভাঙা হয় কাঠের দরজা। এর পরেই ঘুম-ঘুম চোখে খালি গায়ে বেরিয়ে আসেন যুবক।

ঘরের সামনে ভিড়, পুলিশ দেখে বিস্ময় নিয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকেন। ঘড়িতে তখন দুপুর আড়াইটা।

চোখ ডলতে ডলতে বলেন, ‘‘কী হয়েছে? এত লোক কেন? দরজাটা খুললেন কী করে?’’ ধাতস্থ হওয়ার পরে বলেন, ‘একটু ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।’

সর্বশেষ
জনপ্রিয়